এক দিনমজুরের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে গলসিতে। ওই গ্রাহকের অভিযোগ, এক মাসের মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় ৬৩ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও গলসি পুলিশকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তিনি।
ওই দিনমজুর কাঞ্চন দাসের বাড়ি পুরসা গ্রামে। চালকলে মাল বহনের পাশাপাশি একশো দিনের কাজের জবকার্ড রয়েছে তাঁর। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রামের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। কাঞ্চনবাবুর দাবি, গত কয়েক বছর ধরে সেখানেই ৬৩ হাজার ৫৫২ টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। এ দিন সন্ধ্যায় গলসি থানায় তিনি বলেন, ‘‘আমার দুই মেয়ে। বহু কষ্টে বিয়ে দিয়েছি। বাড়ি করার জন্যে ওই অ্যাকাউন্টে অল্প অল্প করে টাকাটা জমিয়ে ছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।’’ তাঁর ছেলে শরৎ বলেন, ‘‘জুলাইয়ের ২৪ তারিখে আমি বাবার অ্যাকাউন্টে ৮ হাজার টাকা জমা করি। জমা টাকার পরিমাণ হয় ৫৭ হাজার। পরে একশো দিনের কাজের মজুরি বাবদ আরও ৬ হাজার টাকা জমা পড়ে। কিন্তু সোমবার ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি, জুলাই মাসের ৩০ তারিখ থেকে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত ধাপে ধাপে কখনও ১৬৯৯, কখনও ১৪০০, কখনও ১৫৫০ করে টাকা তোলা হয়েছে। প্রায় ৪৫ বার টাকা তোলা হয়েছে।’’ মাস ছয়েক আগে ওই অ্যাকাউন্টে এটিএম পরিষেবা চালু করেছেন বলেও জানান কাঞ্চনবাবু।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, অনলাইনে জিনিস কিনে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ দিন শরৎবাবুর দাবি, ‘‘কার্ডের পিন বা অন্য কোনও নম্বর কাউকে দেওয়া হয়নি। বাবা বা আমায় কেউ ফোন করেও কিছু জানতে চাননি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।