হাসপাতালের বিছানায় বুড়ি।
জেলাশাসকের উদ্যোগে আট বছরের ঠিকানা বদলাচ্ছে ছোট্ট বুড়ির। আজ, মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে বুড়িকে হোমে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। তিনি হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) প্রণব বিশ্বাসকে। সোমবার প্রণববাবু বলেন, “মঙ্গলবারই হোম কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে গিয়ে বুড়িকে নিয়ে আসবে।” দু’মাস বয়স থেকে মেডিক্যালের শিশু বিভাগে রয়েছে বুড়ি। নার্স-চিকিৎসক ও আয়াদের শুশ্রূষায় আট বছর ধরে সেখানেই বড় হচ্ছে সে। শিরদাঁড়া ও স্নায়ুরোগে আক্রান্ত মেয়েটির স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়নি। হাঁটাচলাও করতে পারে না।
শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকায় এই খবর প্রকাশিত হতেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ওই দিনই রোগীকল্যাণ কমিটির সভায় বুড়িকে হোমে পাঠানোর ব্যাপারে ফের আলোচনা হয়। সোমবার সার্কিট হাউসে একটি বৈঠক সেরেই জেলাশাসক বুড়ির খোঁজ খবর নেন। তাঁর কথায়, “হোমে বুড়ির যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য হোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ বলেন, “বুড়ি তো আমাদের সকলের মেয়ে। ওর যে কোনও অসুবিধা হলে আমরা তো রয়েছি।” ও দিকে, সোমবারই হাসপাতালের এসএনসিইউ থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক শিশুকন্যাকে নিয়ে গেল শিশুকল্যাণ কমিটি। তারা ওই শিশুকন্যাকে তালিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার একটি হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর ওই শিশুকে বিক্রি করার চক্রান্ত হয়েছিল।