অপরাধে লাগাম টানতে ক্যামেরাবন্দি বর্ধমান

ক্যামেরাবন্দি করার পাশাপাশি আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্তারা জানান, এত দিন শিশুদের পরিচয়পত্র দেওয়া হলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এ বছর থেকে ‘রিবন’ সমেত পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এ বার কড়া নজরে শহর বর্ধমান। ইতিমধ্যেই ৩২টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে বর্ধমান শহরে। শারদোৎসবের আগে আরও ৯০টি শক্তিশালী সিসি ক্যামেরায় শহরের অলিগলিতে নজরদারি চালবে বলে দাবি জেলা পুলিশের।

Advertisement

জেলা পুলিশ বর্ধমান শহর, শহরতলি ছাড়াও কাটোয়া, কালনায় সব কটি বড় পুজো কমিটিকেই মণ্ডপে যাতায়াতের পথে সিসি ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। জেলা পুলিশের হিসেবে, বর্ধমান শহরে ৮৫টি, বড়শুলে তিনটি, মেমারিতে দুটি, কাটোয়া ও কালনায় একটি করে বেশি বাজেটের পুজো হয়। পুলিশের দাবি, ওই পুজোগুলিতে ভিড় বেশির সুযোগে অনেক সময়েই দুষ্কৃতীরাও জড়ো হয়। বাড়ে পকেটমারি, ছিনতাই-সহ নানা ঘটনাও। গত বছর সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ রেখে অপরাধ কমানো গিয়েছে বলে দাবি জেলা পুলিশের কর্তাদের। এ বার যাতে অপরাধে আরও লাগাম টানা যায়, তাই এমন ক্যামেরাবন্দি করার সিদ্ধান্ত, দাবি পুলিশের। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “প্রশাসনিক বৈঠকে বড় পুজো কমিটিগুলিকে সিসি ক্যামেরা রাখা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ দেওয়া হবে। আমরা পুজো মণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য পুরস্কারও দেব।”

ক্যামেরাবন্দি করার পাশাপাশি আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্তারা জানান, এত দিন শিশুদের পরিচয়পত্র দেওয়া হলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এ বছর থেকে ‘রিবন’ সমেত পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। ওই পরিচয়পত্র পুলিশের ‘হেল্পডেস্ক’ থেকে সংগ্রহ করে শিশুদের রাস্তায় নামতে হবে। তা ছাড়া পুজোর সময় শহরের রাস্তায় গতির ধুম দেখা যায়। এই প্রবণতাতেও ক্যামেরার মাধ্যমে লাগাম টানা যাবে বলে আশা পুলিশ কর্তাদের। নানা বাজারে ‘চেনা মুখ’, যাঁরা অপরাধ ঘটাতে পারে, তাঁদের চিহ্নিত করাও সিসি ক্যামেরা বসানোয় সহজ হবে।

Advertisement

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ‘সিটি সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম’-এর মাধ্যমে ক্যামেরার নজর অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগবে। ২৪ ঘণ্টা থানার পুলিশকর্মীরা ক্যামেরার নজরদারি লক্ষ করবেন। দরকারে জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও নিজেদের ঘরে বসেও তা দেখতে পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন