—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
‘ভুয়ো’ পুলিশের পরিচয় দিয়ে ছাগল ও ভেড়াবোঝাই গাড়ির চালকের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই গাড়ির চালককে অভিযুক্ত পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার আধিকারিক পরিচয় দেন বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের কাছ থেকে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতকে শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতার শর্তে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
ধৃতের নাম মধুজিৎ গুপ্ত। তাঁর বাড়ি মেমারি থানার শালিগ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি থানার হাটপুকুর বাগিলা মোড়ের বাসিন্দা সাইজাদ আলি কুরেশির মাংসের দোকান রয়েছে। দোকানটি সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ একটি গাড়িতে করে তাঁর দোকানের জন্য ছাগল ও ভেড়া আনা হচ্ছিল। পথে মেমারি থানার মেজবাবু পরিচয় দিয়ে মধুজিৎ গাড়িটিকে আটকান। গাড়ির চালকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। প্রথমে চালক টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এর পর, অভিযুক্ত গাড়িটিকে ক্রেনে করে মেমারি থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। শুধু তা-ই নয়, টাকা না দেওয়ায় চালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন তিনি। ভয় পেয়ে চালক তাঁর কাছে থাকা ৫০০ টাকা অভিযুক্তকে দেন। বাকি টাকা থানায় গিয়ে দিয়ে আসার জন্য চালককে বলা হয়। পরে, গাড়ির চালক জানতে পারেন ওই ব্যক্তি মেমারি থানার মেজবাবু নন। তাঁর পরিচয় জানার পর মাংসের দোকানের মালিক মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশের কাছে মধুজিৎ তাঁর অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। ধৃতকে শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং তদন্তে সব ধরণের সহযোগিতার শর্তে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। ধৃতের কাছ থেকে ওই ৫০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।