বারবার দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে বৈঠক হয়েছে। শনিবার দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়াগাগুলি পরিদর্শনও করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা। কিন্তু দুর্ঘটনায় রাশ টানা যাচ্ছে না জাতীয় সড়কে। রবিবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সময়ে এক পুলিশকর্মীরই মৃত্যু হল ট্রাকের ধাক্কায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে পানাগড়ের বিরুডিহা মোড়ে ট্রাফিক সামলাচ্ছিলেন নারায়ণ দাস (২৪)। বর্ধমানের দিকে যাওয়া একটি ট্রাক সিগন্যাল না মেনে তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। চাকায় পিষে যায় তাঁর শরীর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নারায়ণবাবুর। পুলিশ ট্রাকটি ধাওয়া করে। সামনের নানা থানাকেও খবর দেওয়া হয়। শেষে পালশিটের কাছে ট্রাকটি ধরে ফেলে পুলিশ। চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ নিয়ে এক সপ্তাহে শুধু দুর্গাপুর মহকুমা এলাকায় জাতীয় সড়কে আট জনের মৃত্যু হল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও কয়েক জন। লাগাতার এমন দুর্ঘটনায় লাগাম দিতে প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার দুর্গাপুরে বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। এর পরে শনিবার জাতীয় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়়গুলি পরিদর্শন করেন পুলিশ, পরিবহণ দফতর, বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধি, নানা এলাকার বিডিও-রা। কিন্তু দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ শুরু করার পরেই রবিবার সকালে ফের দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হল জাতীয় সড়কে।
বারবার দুর্ঘটনার পরে আরও কড়া ভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পরিমর্শ দিয়েছে প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, এ দিন সকালে বিরুডিহা মোড়ে কড়া হাতেই ট্রাফিক সামলাচ্ছিলেন নারায়ণবাবু। কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে ট্রাকটি দ্রুত ধেয়ে আসে। তিনি হাত দেখিয়ে আটকাতে চাইলেও চালক থামেননি, উল্টে তাঁর উপর দিয়েই ট্রাক চালিয়ে দেয়। শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেও সরে যেতে পারেননি ওই পুলিশকর্মী।
এই ঘটনার পরে গাড়ির চালকদের বেপরোয়া মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ‘অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র দুর্গাপুর শাখার তরফে সমীর বসুও বলেন, ‘‘লরি-ট্রাক চালানোর মতো উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও মানসিকতা বহু চালকেরই নেই। কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা জরুরি।’’