শ্বাসরোধেই মৃত্যু হয় বনলতার

শ্বাসরোধ করে খুনের পরে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ, বাড়ির উঠোন থেকে বধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, মৃতার স্বামী বাপন বাউরির হদিস মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৫৭
Share:

ঘটনাস্থল। নিজস্ব চিত্র

শ্বাসরোধ করে খুনের পরে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ, বাড়ির উঠোন থেকে বধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, মৃতার স্বামী বাপন বাউরির হদিস মেলেনি। শুক্রবার সকালে তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাপন তিন স্ত্রীকে নিয়ে বুদবুদের দক্ষিণ রাইপুরের আঁকুড়ে পাড়ায় বাস করত। সরস্বতী পুজোর পরে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান বাপনের দ্বিতীয় স্ত্রী বনলতা বাউরি। প্রতিবেশীদের দাবি, মাঝে-মধ্যেই বাপনের সঙ্গে গোলমাল বাধত বনলতার। মাঝে-মধ্যে বনলতা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেন। কিছু দিন পরে ফিরে আসতেন। এক্ষেত্রেও গোড়ায় তেমনটাই ভেবেছিলেন পড়শিরা। কিন্তু মাস খানেক পরে বাপন ও বাড়ির অন্য সদস্যেরা বাড়ি ছেড়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। বুধবার রাতে বৃষ্টির পরে বাপনের বাড়ির উঠোনের একাংশ বসে যায়। সেখান থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। উঠোনে প্রায় চার ফুট গর্ত খোঁড়ার পরে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পরনের শাড়ি দেখে এলাকাবাসী জানান, সেটি বনলতার দেহ।

শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাপনের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, বাপন এলাকায় প্রায়ই অশান্তি করত। ছুরি, তরোয়াল নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াত। স্থানীয় বাসিন্দা দীনু বাউরির অভিযোগ, ‘‘আমাকে এক বার তরোয়াল নিয়ে তাড়া করেছিল বাপন। পাড়ার কারও সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল না ওর।’’ বাসিন্দাদের দাবি, বাপনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাপের বাড়ি আউশগ্রামের অমরপুরের আদুরিয়া গ্রামে। তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন রাইপুরেরই বাসিন্দা। তবে বনলতার বাপের বাড়ি কোথায়, তা কারও জানা নেই।

Advertisement

বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মাঝে-মধ্যে রাতে বাপনের বাড়ি থেকে ঘণ্টা, কাঁসরের আওয়াজ শোনা যেত। বনলতা নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পরে বাড়ির এক পাশে একটি মন্দিরও গড়া হয়। এ দিন সকালে বাপনের বাড়ির তালা ভেঙে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করে পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ময়না-তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে মহিলাকে। তবে খুনের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাপন ও তার পরিবারের বাকিদের খোঁজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন