রাত পর্যন্ত হাসপাতালে থেকে সমস্যা শুনবেন মন্ত্রী

প্রত্যন্ত গ্রামে রাত কাটিয়ে গ্রামবাসীদের সমস্যা শোনা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে নতুন নয়। বাড়ির দরজায় গিয়েও সমস্যা জেনেও সুরাহা করেছেন অনেক কর্তা। এ বার হাসপাতালেও সপ্তাহে এক দিন রোগীদের কাছে গিয়ে তাঁদের সুবিধে-অসুবিধে জানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৮
Share:

প্রত্যন্ত গ্রামে রাত কাটিয়ে গ্রামবাসীদের সমস্যা শোনা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে নতুন নয়। বাড়ির দরজায় গিয়েও সমস্যা জেনেও সুরাহা করেছেন অনেক কর্তা। এ বার হাসপাতালেও সপ্তাহে এক দিন রোগীদের কাছে গিয়ে তাঁদের সুবিধে-অসুবিধে জানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রী।

Advertisement

ঠিক হয়েছে, প্রতি রবিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত হাজির থাকবেন প্রাণিসম্পদ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও ভূমি দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ওয়ার্ডে ঘুরে রোগীদের সঙ্গে, তাঁদের পরিজনেদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেবেন। সঙ্গে থাকবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘মহকুমা হাসপাতালের উন্নয়নে আমার দায়িত্ব রয়েছে। ঠিক করেছি, প্রত্যেক রোগীর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করব পরিষেবা কেমন মিলছে, কোথা গলদ রয়েছে। প্রয়োজনে হাসপাতালের উন্নয়নের ব্যাপারে তাঁদের পরামর্শ নেওয়া হবে।’’

বছর দুয়েক আগেও মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে অনেক ক্ষোভ ছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পাওয়া, অনেক অস্ত্রোপচার না হওয়ার অভিযোগ ছিল। এখন অবশ্য পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। জরুরি বিভাগগুলিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে। চালু হয়েছে সদ্যজাত শিশুদের বিশেষ যত্নের জন্য ‘সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট’। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন মহকুমায় এই পরিষেবা না থাকায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে যেতে হতো। এ বার ২০ শয্যার এই বিভাগ চালু হওয়ায় সমস্যা অনেকটাই কমবে। এই সমস্ত পরিষেবার অনেকটাই স্বপনবাবুর উদ্যোগেই হয়েছে। হাসপাতালের নার্সের ঘাটতি মেটাতেও উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ৩০ জন নার্স পেতে চলেছে কালনা হাসপাতাল। এ ছাড়া কিছু দিন আগে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের কোনও চিকিৎসক আলাদা চেম্বার খুলতে না পারারও প্রস্তাব দেন মন্ত্রী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা কার্যকরও করে। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন ঠিকই। তবে রোগী কল্যাণ সমিতি রোগীদের স্বার্থেই কাজ করে যাবে।’’

Advertisement

মন্ত্রী হাসপাতালে এসে রোগীদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্তে খুশি রোগীর আত্মীয়েরাও। শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় পরিতোষ মজুমদার বলেন, ‘‘উনি নিয়মিত হাসপাতালে এলে কর্তৃপক্ষ কোনও গাফিলতি না রাখার চেষ্টা করবে। ফলে উন্নত পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ।’’ হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইও বলেন, ‘‘দারুন সিদ্ধান্ত মন্ত্রীর। ওনাকে নিয়মিত কাছে পাওয়া গেলে হাসপাতালের পরিষেবার মান আরও বাড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন