প্রতীকী ছবি।
গত মঙ্গলবার বর্ধমানের শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টি ঐতিহ্যবাহী মিহিদানা পাড়ি দিয়েছিল বাহরিনে। আর এ বার বর্ধমান ‘সীতাভোগ অ্যাণ্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটস’-এর উদ্যোগে ৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে সেই দেশেই যাবে সীতাভোগ। বর্ধমান থেকে এক একটি বাক্সে ২০০ গ্রাম সীতাভোগ ও ২০০ গ্রাম করে মিহিদানা যাবে সে দেশে। মোট ৩০ টি বাক্স থাকবে। একেবারে গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরী ‘জিআই ট্যাগ’ যুক্ত মোট ১২ কেজি সীতাভোগ পাড়ি দেবে আলজাজিরার একটি স্টোরে।
‘সীতাভোগ এণ্ড মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটস’-এর সভাপতি প্রদীপ ভকত বলেছেন, ‘‘সপ্তাহ খানেক আগে বাহরিনে গিয়েছে মিহিদানা। সেখানে মিহিদানা খেয়ে ওদেশের মানুষরা খুবই উচ্ছ্বসিত। তাই এ বার যাচ্ছে সীতাভোগ। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতীয় ডাক বিভাগ এই দুটি মিষ্টিকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে মাস দুয়েক আগে। ভারতীয় ডাক বিভাগের উদ্যোগে বাজারে ছাড়া হয়েছে সীতাভোগ মিহিদানাকে নিয়ে বিশেষ খামও।
কথিত আছে ১৯০৪ সালে বর্ধমানের রাজা বিজয়চন্দ মহাতাবকে রাজাধিরাজ উপাধি দেয় ইংরেজ সরকার। সেই উপলক্ষ্যে বর্ধমান রাজপ্রাসাদে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বাংলার তৎকালীন বড়লাট লর্ড কার্জন বর্ধমান সফরে আসেন। বড়লাটকে খুশি করার জন্য এবং অনুষ্ঠানকে আরও বিশেষ করার জন্য বর্ধমানের রাজা বিজয়চন্দের নির্দেশে দু’টি একদম নতুন মিষ্টি তৈরি হয় — সীতাভোগ আর মিহিদানা। সেই মিষ্টিই যাচ্ছে বিশ্বজয় করতে।