Education

পাঠ্যক্রম শেষ না হলে পরীক্ষা নয়, দাবি

এসএফআইয়ের দাবি, ‘অনলাইন-ক্লাস’-এর সুযোগ সবাই পাচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ০৫:১০
Share:

জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

পাঠ্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া যাবে না— এই দাবিতে সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ ব্লক অফিসে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখাল এসএফআইয়ের রানিগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটি। পরে তারা যুগ্ম বিডিওকে স্মারকলিপি দেয়।

Advertisement

এসএফআইয়ের দাবি, ‘অনলাইন-ক্লাস’-এর সুযোগ সবাই পাচ্ছে না। ফলে, অনেক পড়ুয়া স্কুলের এই পঠনপাঠন প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তা ছাড়া, এই পদ্ধতিতে গবেষণাগামূলক পাঠ্যক্রম করা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারকে বিকল্প পদ্ধতি ভাবতে হবে। সংগঠনের অঞ্চল সভাপতি দেবজ্যোতি পট্টনায়কের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্তত এক বছর বেসরকারি স্কুলের সমস্ত ‘ফি,’ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সিমেস্টার’-এর ‘ফি’ মকুব করতে হবে। স্কুল চালু করার আগে সব স্কুলে জীবাণুনাশক ছড়াতে হবে। জনজাতি-সহ অন্য ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত অনুদান বন্ধ করা যাবে না। বরং অনুদান বাড়াতে হবে। বিডিও (রানিগঞ্জ) অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দাবিপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

অনলাইনে পঠপাঠন প্রসঙ্গে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমিতদ্যুতি ঘোষ বলেন, ‘‘শিক্ষাদান দ্বিমুখী প্রক্রিয়া। শিক্ষকেরা পড়াবেন ও পড়ুয়ারা বুঝতে না পারলে প্রশ্ন করে জেনে নেবেন। এ ক্ষেত্রে একমুখী হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকেরা পড়াচ্ছেন। কিন্তু পড়ুয়াদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকছে না। এই পদ্ধতিতে গবেষণামূলক পাঠ্যক্রমও চালানো সম্ভব নয়। তা ছাড়া, আর্থিক কারণে পড়ুয়াদের একাংশের অনলাইনে পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই।’’ এ নিয়ে একমত পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল শিক্ষক সমিতির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখতে এই পদ্ধতি চালু করেছে। কিন্তু অনলাইন বিকল্প হতে পারে না। তবে সরকার সদর্থক চিন্তাভাবনা করছে। আমরাও সংগঠনগত ভাবে বিকল্প পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রম শেষ করার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement