প্রতীকী ছবি।
বছর দশকের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বৃদ্ধ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বছর পঁয়ষট্টির স্বদেশ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে গলসি থানার পুলিশ। রবিবার সকালে গলসির করকোনা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় বাড়ি থেকেই তাঁকে ধরে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রায়পুর গ্রামের ওই কিশোরী দিদির সঙ্গে পাশের গ্রাম করকোনায় ওই শিক্ষকের কাছে টিউশনে যেত। বোনকে ওই শিক্ষকের কাছে পৌঁছে দিয়ে দিদি অন্য শিক্ষকের কাছে পড়তে চলে যেত।
মেয়েটির পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে টিউশন দেন স্বদেশবাবু। প্রথমে রায়পুর গ্রামে গিয়েই পড়াতেন। বয়সের কারণে এখন নিজের বাড়িতে পড়ান। অভিযোগ, শুক্রবার সকালে ওই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। সে পরিজনেদের জানায়, তার পেটে ও যৌনাঙ্গে ব্যথা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন তাকে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার করা হয়েছে। এর পরেই পরিজনেদের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে ওই নাবালিকা। শনিবার ওই নাবালিকার মা গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ধর্ষণ (৩৭৬ এবি) ও পকসো আইনের ৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। শিশুকন্যা ও তার মায়ের গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানোর জন্যও আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে দাঁড়াননি। ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার পকসো আদালতে তোলার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মণিকা চট্টোপাধ্যায় সাহা।
ওই গ্রামের বাসিন্দা, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফজিলা বেগম বলেন, “এটা খুবই জঘন্যতম ঘটনা। ওই শিক্ষকের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।”