আঁধার পথে মদের আসর

যেখানে এই ঘটনা, সেই এলাকায় রাস্তা ফাঁকা। কিন্তু রাস্তায় পথবাতি না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে বলে জানান এলাকাবাসী।

Advertisement

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৫
Share:

অভিযোগ যেখানে

স্বামীর সামনে টেনে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জামুড়িয়ার পরাশিয়া পঞ্চায়েতের এক এলাকায়। তার পরে সেই এলাকার নানা পরিকাঠামো ও নিরাপত্তার বিষয়ে খামতির অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। সেই খামতির ‘সুযোগে’ ঘটনাস্থলে নানা অসমাজিক কাজকর্ম চলে বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।

Advertisement

যেখানে এই ঘটনা, সেই এলাকায় রাস্তা ফাঁকা। কিন্তু রাস্তায় পথবাতি না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে বলে জানান এলাকাবাসী। পাশাপাশি, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের অদূরে থাকা ওই এলাকায় পুলিশের টহল কালেভদ্রেও দেখা যায় না অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় সিপিএম নেতা প্রহ্লাদ বিশাই, বিজেপি নেতা গৌতম মণ্ডলদের ক্ষোভ, ‘‘পথবাতি না থাকা এবং পুলিশের নজর না থাকার ‘সুযোগে’ যে রাস্তার ধারে এই ঘটনা, তার আশপাশে বসে মদের আসর।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বাসিন্দার অভিযোগ, এলাকায় মদের অবৈধ কারবারও বাড়ছে। এমনকি, গ্রামে পানের গুমটি থেকেও মিলছে মদ। সন্ধ্যা নামলেই ওই রাস্তার পাশে মত্তদের চিৎকার, অশান্তি প্রতি দিনের ঘটনা, জানান কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, অবস্থা এমনই যে সন্ধ্যা হওয়ার আগে ওই রাস্তা পেরোতে চান তাঁরা।

এই এলাকায় অতীতেও নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটেছে বলে বাসিন্দারা জানান। তৃণমূল নেতা তথা জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ (শিক্ষা) উদীপ সিংহ বলেন, ‘‘রাস্তার পাশের ওই ঝোপঝাড়ে বছর দু’য়েক আগে এক মহিলার দেহ ফেলে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশি টহল না থাকাতেই এই অবস্থা।’’ দ্রুত এলাকায় পুলিশের টহল দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পরাশিয়ার পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী মুণ্ডাও। উদীপবাবু জানান, এলাকায় দ্রুত পথবাতি বসানোর জন্য আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) কাছে আর্জি জানানো হবে।

Advertisement

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিকের অবশ্য আশ্বাস, ওই এলাকায় টহল বাড়ানো হবে। গ্রামে অবৈধ মদের কারবার চলছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর করার কথা জানিয়েছে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন