Fake Passport

জাল পাসপোর্টকাণ্ডে এ বার নাম জড়াল কালনার, বাংলাদেশি যুবক-সহ গ্রেফতার দুই

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম পবিত্র মণ্ডল ওরফে প্রবীর এবং মহম্মদ আজহারুল ইসলাম। অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে দালাল মারফত ভারতে ঢুকেছিলেন পবিত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৯
Share:

পাসপোর্টের জন্য জাল নথি ব্যবহার করতে গিয়ে কালনায় ধরা পড়লেন দুই যুবক। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এ বার পাসপোর্টের জন্য জাল নথি ব্যবহার করতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ধরা পড়লেন এক যুবক ও তাঁর সহযোগী। শুক্রবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মূল অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক। অন্য জন তাঁকে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানাতে সাহায্য করেছিলেন। শনিবার দু’জনকে কালনা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম পবিত্র মণ্ডল ওরফে প্রবীর এবং মহম্মদ আজহারুল ইসলাম। পবিত্রের বাড়ি কালনার কৃষ্ণদেবপুর রায় পাড়ায়। আর আজহারুল কালনারই গোয়ারা এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে দালাল মারফত ভারতে ঢুকেছিলেন পবিত্র। সেই থেকে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। জালিয়াতি করে ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, এমনকি জন্ম সার্টিফিকেটও তৈরি করে ফেলেছিলেন ওই যুবক। অভিযোগ, এ সব পরিচয়পত্র তৈরিতে আজহারুলই তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। তাঁর সাইবার ক্যাফে থেকেই যাবতীয় জাল নথি বানিয়েছিলেন পবিত্র।

ধৃত পবিত্র জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে থাকা মা-বাবাকে ভারতে নিয়ে আসার জন্য জাল নথিপত্র জমা দিয়ে অনলাইনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। সেখানে ভেরিফিকেশন করতে গিয়েই গোটা বিষয়টি ধরা পড়ে। এর পরেই পবিত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজহারুলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ধৃতদের কালনা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধরি বলেন, ‘‘পবিত্র মণ্ডলের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় দেখা যায় যে তাঁর জমা দেওয়া জন্মের শংসাপত্রটি জাল। ডিআইবির অভিযোগে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের হয় এবং ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরার পর জাল সার্টিফিকেট প্রস্তুতকারক আজহারুল ইসলাম নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ গোটা বিষয়টি শুনে কালনা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘আমার সই জাল করে নয়, আমার সই ফটোকপি করে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে।’’ কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ মণ্ডল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁদের পুরসভার কোন কর্মী জড়িত নন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement