Deaf and Dumb

মূক-বধিরদের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা

মূক ও বধিরদের সঙ্গে সহজে ভাব আদানপ্রদানের জন্য বিশেষ একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছেন কালনা শহরের ব্যবসায়ী গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৯
Share:

পদ্ধতি শেখাচ্ছেন প্রৌঢ়। নিজস্ব চিত্র

মূক ও বধিরদের সঙ্গে সহজে ভাব আদানপ্রদানের জন্য বিশেষ একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছেন কালনা শহরের ব্যবসায়ী গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। শনিবার কালনার পেয়ারিনগর পালপাড়া এলাকায় এক মূক ও বধির ছাত্রীর সঙ্গে ওই ‘সফটঅয়্যারের’ সাহায্যে কথা বলেন তিনি। বর্তমানে কলকাতাবাসী পঞ্চাশোর্ধ্ব গোবিন্দবাবু এ ব্যাপারে ‘পেটেন্ট’ও পেয়েছেন।

Advertisement

গোবিন্দবাবু জানান, মূক ও বধিরদের ‘অ্যান্ড্রয়েড’ মোবাইলের মধ্যে ওই সফটওয়্যার বসানো থাকবে। যিনি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন তাঁর হাতে থাকবে ছোট একটি মাইক্রোফোন। সেটি ওই মোবাইলের সঙ্গে জোড়া থাকবে। উচ্চারণ করা বাক্যগুলি ওই মূক ও বধির ব্যক্তির মোবাইলের স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। আঞ্চলিক ভাষায় লেখাটি পড়ার পরে, নিজের ফোনেই পাল্টা লিখে উত্তর দেবেন ওই ব্যক্তি। তিনি কী লিখলেন তা হাতে ধরা স্পিকারের সাহায্যে শোনা যাবে। গোবিন্দবাবুর দাবি, বিষয়টি নিয়ে ২০০৬ সাল থেকে কাজ করছেন তিনি। খড়গপুর আইআইটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তাঁকে সাহায্য করেছে একটি সংস্থাও। তাঁর দাবি, এই পদ্ধতিতে শব্দের মাত্রা বিভিন্ন পরিবেশে আলাদা হবে। যেমন বাজারে থাকলে জোরে আওয়াজ, আবার নিরিবিলিতে কথা বললে আস্তে আওয়াজ হবে। গোবিন্দবাবু বলেন, ‘‘বেশির ভাগ সময়েই কথোপকথন করতে গিয়ে মুশকিলে পড়েন মূক ও বধিরেরা। এই পদ্ধতিতে সে বাধা থাকবে না।’’

এ দিন পেয়ারিনগরের ওই ছাত্রীর সঙ্গে এই পদ্ধতিতে কথা বলেন গোবিন্দবাবু। ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘আমার বড় মেয়ে ও। এ ভাবে ওর সঙ্গে অনেক কথা বলতে পারব ভেবে ভাল লাগছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন