Suicide

Suicide: নির্যাতনের জেরে মেমারারিতে আত্মঘাতী বধূ, স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ

নদিয়ার শান্তিপুর থানার পল্লিফুলিয়া সবুজপল্লির বিষ্ণুপ্রিয়া শীলের মেয়ে নুপূরের সঙ্গে বছর দশেক আগে প্রশান্তর বিয়ে হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২ ২৩:২৬
Share:

নিজস্ব চিত্র।

সন্তান না হওয়ায় নিয়মিত গঞ্জনা সহ্য করতে হত শ্বশুরবাড়িতে, বলো অভিযোগ। তা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হন বধূ। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম প্রশান্ত বসু। মেমারি থানার আলিপুরে তাঁর বাড়ি। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৭ এপ্রিল ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নদিয়ার শান্তিপুর থানার পল্লিফুলিয়া সবুজপল্লির বিষ্ণুপ্রিয়া শীলের মেয়ে নুপূরের সঙ্গে বছর দশেক আগে প্রশান্তর বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে চাহিদামতো পণ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্বেও বিয়ের কিছুদিন পর নুপূরকে বাপেরবাড়ি থেকে আরও ৩ লক্ষ টাকা আনতে বলা হয়। কিন্তু, তাঁর বাপেরবাড়ির লোকজন সেই টাকা দিতে পারেন নি। সে জন্য শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।

পাশাপাশি, সন্তান না হওয়ার জন্য নুপূরকে ‘বন্ধ্যা’ অপবাদও দেওয়া হয়। সন্তান ধারণের অক্ষমতার কারণে তাঁর উপর অত্যাচার আরও বাড়ে। এরই মধ্যে তাঁর স্বামী এলাকার এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় মাঝেমধ্যেই তাঁকে মারধর করা হতো। গত ২৬ জানুয়ারি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নুপূর শ্বশুরবাড়িতে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছিলেন। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভির্ত করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান নুপূর। এর কিছু দিন পরে তাঁর বাপের বাড়ির তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন