কলে জল মাসে স্রেফ তিন দিন, সমস্যায় উখড়া

উখড়া পঞ্চায়েত জানায়, ১৯৯৮ সালে প্রথম এলাকায় পাইপলাইন বসিয়ে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু স্থানীয় শুকো ও বাউরিপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথম দিন থেকেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বসানো কলে জল পড়ে এক ফোঁটাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৪
Share:

এমনই হাল উখড়ার নানা এলাকার। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

প্রতি টিন জল তিন টাকা। এক ট্যাঙ্কার জল কিনতে লাগে সাড়ে তিনশো টাকা। অনেকে আবার কয়েক কিলোমিটার দূরে ছোটেন জল আনতে। — বাসিন্দাদের অভিযোগ, অন্ডালের উখড়ায় জলসঙ্কটের ছবিটা এমনই। অভিযোগ, প্রশাসনের নানা মহলে বারবার সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি।

Advertisement

উখড়া পঞ্চায়েত জানায়, ১৯৯৮ সালে প্রথম এলাকায় পাইপলাইন বসিয়ে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু স্থানীয় শুকো ও বাউরিপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথম দিন থেকেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বসানো কলে জল পড়ে এক ফোঁটাও। মাত্র দু’বছর জল পেয়েছিলেন ধীবর, ময়রা, চুনারি, মুসলিমপাড়ার বাসিন্দারা। এ ছাড়া অন্য সব এলাকায় কলে জল আসে কোথাও সপ্তাহে তিন দিন, কোথাও বা মাসে তিন দিন।

এই পরিস্থিতিতে প্রতি দিনের কাজ চালাতে ভরসা স্থানীয় কুয়ো, পুকুর। বাসিন্দারা জানান, অনেকেই বাধ্য হন জল কিনে খেতে। গ্রীষ্মকালে সমস্যা আরও বাড়ে। উখড়া বণিক সংগঠনের তরফে মহাদেব দত্ত জানান, বছরের অনেক সময়ই বাধ্য হয়ে দোকানদারদের জল কিনতে হয়। ঠেলা–রিকশায় করে চলে জল আনা। কোন জলাশয় থেকে জল আনা হচ্ছে, তার দূরত্ব অনুযায়ী প্রতি টিন জলের দাম তিন থেকে পাঁচ টাকা। বাসিন্দারা জানান, গ্রীষ্মকালে অনেকেই ট্যাঙ্কার ভর্তি জল কিনতে হয়। এক ট্যাঙ্কারে তিন হাজার লিটার জল থাকে। ট্যাঙ্কারে জল নিয়ে এসে জল সরবরাহকারীরা বাড়ির কুয়োয় জল ফেলেন।

Advertisement

বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত অজয় জলপ্রকল্পের কাজ শেষ না হলে সমস্যা মিটবে না। বাউড়িপাড়ার বাসিন্দা কালিয়া বাউড়ি জানান, উখড়া থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে শঙ্করপুর মোড়। সেখানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহের প্রধান লাইন গিয়েছে। তাই সেখান থেকেই পাড়ার বাসিন্দারা জল আনেন। কিন্তু গ্রীষ্মে সেখানেও সমস্যা না মেটায় বাসিন্দাদের ছুটতে হয় তিন কিলোমিটার দূরের নবঘনপুর বা চার কিলোমিটার দূরের ময়রা শ্মশান লাগোয়া এলাকায়।

উখড়া পঞ্চায়েতের প্রধান দয়াময় সিংহের অবশ্য দাবি, ‘‘পাণ্ডবেশ্বর ঘাটের কাছে অজয় জলপ্রকল্পের জলাধার তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। পাইপলাইন পাতার কাজও অনেকটা এগিয়েছে। কিন্তু একটি জায়গায় রেলের অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় কাজ আটকে রয়েছে।

বিডিও (অন্ডাল) ঋত্বিক হাজরার অবশ্য আশ্বাস, ‘‘খুব দ্রুত প্রকল্প চালু হবে। উখড়ার জল সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন