সম্পর্ক মেয়ের সঙ্গে, দাবি ধৃতের

বৃদ্ধকে খুনের কোনও পরিকল্পনা তার ছিল না। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে তাকে দেখে ফেলায় আকস্মিক ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃত যুবক, দাবি পুলিশের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০৭
Share:

বৃদ্ধকে খুনের কোনও পরিকল্পনা তার ছিল না। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে তাকে দেখে ফেলায় আকস্মিক ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃত যুবক, দাবি পুলিশের।

Advertisement

দুর্গাপুরের স্কুলের প্রাক্তন গ্রন্থাগারিক তপন মুখোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় ধৃত প্রদীপ চৌহান বেনাচিতির যে দু’টি হোটেলে উঠেছিল, মঙ্গলবার তাকে নিয়ে সেখানে যায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রদীপ দাবি করেছে, তপনবাবুর বাড়ির রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে সে খুন করেছে। যদিও নিহতের মেয়ে শিবানীর দাবি, তাঁদের বাড়িতে অত বড় ছুরি ছিল না। প্রদীপের সঙ্গে কোনও সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি।

রবিবার রাত ৯টা নাগাদ নিজের বাড়িতেই খুন হন ভিড়িঙ্গি টিএন হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক তপনবাবু। শিবানী পুলিশের কাছে দাবি করেন, তিনি ও তাঁর দিদিমা সেই সময়ে দোতলায় ছিলেন। মা সুনন্দাদেবী ইসিএলের কাজোড়া হাসপাতালের কর্মী। তখন তিনি হাসপাতালে ছিলেন। বাবার আর্তনাদ শুনে দৌড়ে নেমে এসে দেখেন, প্রদীপ ভোজালি দিয়ে তাঁর পেটে কোপ মারছে। তাঁকে দেখে প্রদীপ ছাদে গিয়ে লুকোনোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। শিবানীর আরও দাবি, প্রদীপের সঙ্গে আরও এক জন ছিল। যদিও পুলিশ দ্বিতীয় কারও থাকার কোনও সূত্র এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রদীপের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। দিল্লিতে একটি রং কারখানায় কাজ করে সে। তপনবাবুর পরিবারের দাবি, শিবানীকে প্রদীপ নিয়মিত ফোনে বিরক্ত করে। তপনবাবুকে ফোন করে টাকা চাওয়া ও মেয়েকে অপহরণের হুমকিও দিত সে। সম্পত্তির লোভেই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সুনন্দাদেবীর অভিযোগ।

পুলিশ জানায়, প্রদীপ অবশ্য জেরায় দাবি করেছে, শিবানী তাকে বাড়িতে ডাকতেন। বেশ কয়েকবার রাতে সে ওই বাড়িতে গিয়েছে। তার সঙ্গে সিটি সেন্টারের একটি শপিংমলে ঘুরতেও গিয়েছিলেন শিবানী। তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, দাবি করেছে প্রদীপ। তার আরও দাবি, রবিবার শিবানীর পাশে তাকে বসে থাকতে দেখেন তপনবাবু। তার পরেই তাঁকে খুন হতে হয়। কেন? প্রদীপ বলে, ‘‘জানি না।’’ শিবানী অবশ্য প্রদীপের দাবি উড়িয়ে পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁকে ফোনে উত্ত্যক্ত করত প্রদীপ। কোনও সম্পর্কই ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘বাবার খুনির চরম সাজা চাই।’’ সুনন্দাদেবী বলেন, ‘‘সম্পর্কের কথা বলে ঘটনা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে অভিযুক্ত। আমার মেয়েকে বদনাম করে সম্পত্তি হাতানোই ওর উদ্দেশ্য ছিল।’’ ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী জানান, অভিযুক্তকে এ দিন দু’টি হোটেলের কর্মীরাই শনাক্ত করেছেন। ঘটনায় দ্বিতীয় কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন