Sehgal Hossain

সহগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে আবার কোর্টে গেল ইডি, পত্রপাঠ খারিজ করে দিলেন বিচারক

শুক্রবার আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সহগলকে বেশ কিছু সময় ধরে জেরার পর তাঁকে ‘গ্রেফতার’ করেন ইডি আধিকারিকেরা। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অ্যারেস্ট মেমোও জমা দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৪৩
Share:

অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেন। ফাইল চিত্র।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আর্জি প্রথমে শুনলেনই না বিচারক। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে তাই আবার সন্ধ্যায় ইডি আদালতের দ্বারস্থ হল। কিন্তু সেই আর্জি পত্রপাঠ খারিজও হয়ে গেল। পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারক রত্না রায় লিখিত ভাবে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট মামলার কেস রেকর্ড দেখার পরিসরই নেই অবসরকালীন আদালতের। তাই, মামলাটি খারিজ করছেন তিনি। ইডির অবশ্য বক্তব্য, এ ব্যাপারে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

Advertisement

শুক্রবার আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সহগলকে বেশ কিছু সময় ধরে জেরা করে তাঁকে ‘গ্রেফতার’ করেন ইডি আধিকারিকেরা। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অ্যারেস্ট মেমোও জমা দেওয়া হয়। এর পর দুপুরে অ্যারেস্ট মেমোর একটি প্রতিলিপি আদালতে জমা দিয়ে সহগলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন ইডির আইনজীবী। কিন্তু সেই সময় তা শুনতেই চাননি বিচারক। আদালত সূত্রে খবর, ইডির আইনজীবী বিচারককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সহগলকে গ্রেফতার করতেই হবে। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া ভীষণ জরুরি।’’ কিন্তু এই ভাবে আদৌ গ্রেফতার করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। তাঁর আরও প্রশ্ন, ইডির কোনও মামলা আসানসোলের আদালতে নেই। তা হলে কিসের প্রেক্ষিতে ইডি সহগলকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে? বিচারক জানান, সহগলকে যদি গ্রেফতার করতেই হয়, তা হলে দিল্লির আদালত (যেখানে ইডির মূল মামলা রয়েছে) থেকে উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে ইডিকে। তা হলেই ট্রানজিট রিমান্ডে সহগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে দেওয়া হবে।

বিচারক ইডির মামলা শুনতে না চাওয়ায় কোনও লিখিত ‘অর্ডার’ হাতে পায়নি ইডি। সেই লিখিত ‘অর্ডার’-এর জন্যই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। তার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আবার জেলা আদালতে যায় তারা। তাদের বক্তব্য শোনার পর এ বার বিচারক লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন, সহগলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে ইডি যে আবেদন করেছে, তা তিনি খারিজ করছেন। তার প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘ইডি সহগল হোসেনকে আসানসোল সংশোধনাগারে সোন অ্যারেস্ট (বিচারাধীন অবস্থায় গ্রেফতার) করেছে। সেই বিষয়ে বিচারক কিছু লেখেননি। অর্থাৎ, সেই অ্যারেস্ট রয়েই গেল। এ বার উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন