কল্যাণপুরে তথ্য-প্রযুক্তি পার্ক। —নিজস্ব চিত্র
দক্ষতা থাকলেও বড় শহরে বিনিয়োগ করার মতো পুঁজি কম, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রের এমন শিল্পপতিদের গন্তব্য হবে আসানসোল। শুক্রবার আসানসোলে এসে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের আইটি কমিশনার কৌশিক হালদার। সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্য সরকার নৈহাটি, ফলতা ও সোনারপুরে তিনটি হার্ডওয়্যার পার্ক তৈরি করবে।
এ দিন আসানসোলের কল্যাণপুরে আলোচনাসভার আয়োজন করে রাজ্য সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি দফতর। ছিলেন এলাকার শিল্পপতি, তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীরাও। ওই সভায় যোগ দিয়ে কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘শিল্পাঞ্চলের দক্ষ তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের সুবিধার জন্য কল্যাণপুরে প্রায় এক একর জায়গায় ২০ কোটি টাকা খরচে পার্কটি তৈরি করা হয়েছে। পার্কের পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নয়নেও জোর দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা-সহ বড় শহরের তথ্য-প্রযুক্তি পার্কের তুলনায় এখানে নামমাত্র দরে জায়গা পাচ্ছেন শিল্পপতিরা।’’ তাই কম পুঁজির বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে আগামী দিনে আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠবে আসানসোল, দাবি কৌশিকবাবুর।
সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বিনিয়োগকারীও এ দিন দাবি করেন, ‘‘আসানসোলের মতো কম মূল্যে এমন উন্নত পরিবেশে বিনিয়োগের জায়গা মিলবে না।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণপুরের এই পার্কে এখনও পর্যন্ত সাতটি সংস্থা লগ্নি করেছে। আরও প্রায় ৩১ সংস্থাকে জায়গা দেওয়া সম্ভব বলে প্রশাসনের কর্তাদের দাবি।
আসানসোল কেন তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের জন্য শিল্পপতিদের গন্তব্য হবে? সরকারের আইটি পরামর্শদাতা স্বরূপ রায়ের দাবি, আসানসোলে বহু সরকারি বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কলকাতা-সহ দেশের নানা প্রান্তের সঙ্গে আসানসোলের পরিবহণ ব্যবস্থাও ভাল। স্বরূপবাবুর দাবি, ‘‘আসানসোলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ও পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া, চাকরিপ্রার্থী এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’
এখানে লগ্নির জন্য শিল্পপতিদের উৎসাহিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বণিকসভার সম্পাদক সুব্রত দত্ত।