হকারদের পুনর্বাসন ও আসানসোল স্টেশনে দুরন্ত এক্সপ্রেস দাঁড়ানোর আর্জি নিয়ে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন এলাকার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর দাবি, এই আবেদনের প্রেক্ষিতে রেলবোর্ডের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সব ঠিক থাকলে দু’টি প্রস্তাবই দ্রুত কার্যকর হবে বলে সাংসদের আশা।
স্টেশন চত্বর ও চলন্ত ট্রেনে হকার দৌরাত্ম্য রোখার নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রক। এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করেছে আরপিএফ-ও। ফলে, আসানসোল স্টেশন চত্বরে হকারদের দৌরাত্ম্য কমেছে ঠিকই, কিন্তু বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েকশো হকার। মাঝে-মাঝেই স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। আরপিএফের সঙ্গে তাঁদের খণ্ডযুদ্ধও বেধে যাচ্ছে কখনও-সখনও। হকারেরা এ বিষয়ে বেশ কয়েক বার অসন্তোষ জানিয়েছেন সাংসদের কাছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরে রেলের হাকরদের পুনর্বাসনের জন্য তিনি উদ্যোগী হয়েছেন বলে বাবুল সুপ্রিয় জানান। তিনি বলেন, ‘‘আসানসোল স্টেশন চত্বরে একটি ফুডকোর্ট তৈরি করা হবে। সেখানে রেলের বৈধ হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। আমি রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর কাছে কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তিনি রেলবোর্ডের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন।’’ বাবুল আরও জানান, এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে প্রশাসনিক সহযোগিতা চাওয়া হবে। তারা এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদী বিজেপি সাংসদ।
আসানসোল স্টেশনে হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসের স্টপ চেয়েও রেলমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন বাবুল। সাংসদ হওয়ার পরেই তাঁর কাছে এই দাবি জানিয়েছিল এলাকার কিছু বণিক সংগঠন। সংগঠনগুলির যুক্তি, আসানসোলে শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসের স্টপ রয়েছে। কিন্তু হাওড়াগামী এই রকম কোনও ট্রেনের স্টপ দেওয়া হলে ব্যবসায়ীদের বাড়তি সুবিধা হবে। বাবুল বলেন, ‘‘আমারও মনে হয়েছে, আসানসোলে দুরন্ত এক্সপ্রেস দাঁড়ানো উচিত। তাই রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি।’’ তিনি জানান, রেলমন্ত্রী এ ব্যাপারেও দফতরের আধিকারিকদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আসানসোল স্টেশনের সৌন্দর্যায়নের জন্য কলা ভবনের তিন শিল্পীকে স্টেশন ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে বলেও জানান বাবুল।