পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন নিয়ে হোক বা আসানসোলে সাংসদ মেলার জন্য ছাড়পত্র পাওয়া— তাঁর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের শঠে শাঠ্যং লেগেই রয়েছে। এ বার বর্ধমান জেলা ভাগের অনুষ্ঠানে তাঁকে নিমন্ত্রণ জানানোর ধরনে অসন্তোষ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের শিষ্ঠাচার ও সংস্কৃতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের প্রতি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এও জানিয়ে দিলেন, আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা ভাগের সভায় উপস্থিত থাকবেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, নতুন জেলা ঘোষণার জন্য আসানসোল পুলিশ লাইনের মাঠে সভা আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার ওই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান জেলা ভাগের কথা জানাবেন। কিন্তু তার মাত্র ১৮ ঘন্টা আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ই-মেল মারফৎ বাবুলের দফতরে আমন্ত্রণ পত্র পাঠান আসানসোলের মহকুমা শাসক প্রলয় রায়চৌধুরী। দেখা যায়, নিমন্ত্রণ পত্রের উপরে হাতে লেখা মন্ত্রীর নাম। ওই খামের ছবিটাই স্ক্যান করে ই-মেল করা হয় বাবুলকে। তাতে মহকুমা শাসক শুধু লেখেন, স্যার অ্যাটাচমেন্টটা দেখুন। এ হেন নিমন্ত্রণ পত্র দেখেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বাবুল। তিনি বলেন, ‘‘এটা ব্যক্তি ইগোর প্রশ্ন নয়। আসানসোলের নির্বাচিত সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কি এ ভাবে নিমন্ত্রণ করা যায়! এই নিমন্ত্রণ পত্র তো মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে আসা উচিত ছিল।’’ পরে বাবুল ট্যুইট করেও জানান, এ ধরনের অনৈতিক ও অমার্জিত পদ্ধতিতে আমন্ত্রণ কখনওই গ্রহণ করা যায় না। মহকুমা শাসক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘এলাকায় সাংসদের প্রতিনিধি প্রশান্ত চক্রবর্তীর হাতে আমরা যথাযোগ্য সম্মান দিয়েই আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছি। তার পরে আলাদা ভাবে তাঁকে ই-মেল করা হয়েছে। যা করার সরকারি বিধি মেনেই করা হয়েছে।’’