বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে গত ২১ ডিসেম্বর আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি-র (পূর্ব) কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন দলের নেতা, কর্মীরা। ওই সময়ে সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে পরের দিনই দশ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরে বুধবার দুর্গাপুর, অণ্ডাল-সহ নানা এলাকায় ধৃত নেতা, কর্মীদের বাড়িতে গেলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।
এ দিন বিকেলে বাবুল অণ্ডালের শ্রীরামপুরে সোমনাথ মোদী, দক্ষিণবাজারে পঙ্কজ গুপ্ত, উখড়ার বিশালাক্ষ্মীতলায় ভোলা ধীবর ও উখড়া তিওয়ারিপাড়ায় শ্রীদীপ চক্রবর্তীর বাড়িতে যান। ওই চার জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাবুল গিয়েছিলেন দুর্গাপুরের ধৃত নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও।
রাত ১২টা নাগাদ মুখ ঢাকা দিয়ে পড়শি সেজে পুলিশকর্মীরা এসে সোমনাথবাবুকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানান তাঁর স্ত্রী শম্পাদেবী। পঙ্কজবাবুর পরিবারের দাবি, রাতে অফিস যাওয়ার পথে পঙ্কজবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোলাদেবীর স্ত্রী শর্মিষ্ঠাদেবী ও শ্রীদীপবাবুর স্ত্রী রাখী চক্রবর্তীরা জানান, দু’জনকেই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবুল এ দিন অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপি-র শক্তিতে ভয় পেয়ে বিরোধী কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ এর জবাব দেবে।’’ তৃণমূলের বিজেপি জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাজ আইন রক্ষা করা। তা ভঙ্গ করা হলে দলমত নির্বিশেষে বর্তমান রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেয়।’’