স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেহাল, সমস্যায় পশু-স্বাস্থ্য

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে একটি। একটি অতিরিক্ত ব্লক পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রও রয়েছে। সেগুলি রয়েছে যথাক্রমে ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত কার্যালয় ও মলানদিঘি পঞ্চায়েতে।

Advertisement

বিপ্লব ভট্টাচার্য

কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ০৮:০০
Share:

এমনই হাল প্রাণিবিকাশ সহায়ককেন্দ্রগুলির। নিজস্ব চিত্র

এক দিকে চাষের কাজের জন্য বহু বাড়িতেই রয়েছে গরু, মোষ। এ ছাড়া, হাঁস, মুরগি বা ছাগল প্রতিপালনও যথেষ্ট সংখ্যায় হয় এই এলাকায়। কিন্তু, সেই এলাকা কাঁকসাতেই পশু চিকিৎসার জন্য থাকা সহায়ক কেন্দ্রগুলিতে সহায়ক নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। চিকিৎসকের সংখ্যাতেও ঘাটতি রয়েছে পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। এ অবস্থায় কাঁকসার ব্লক প্রাণিবিকাশ দফতর পরিষেবা দিতে সমস্যায় পড়ছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে একটি। একটি অতিরিক্ত ব্লক পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রও রয়েছে। সেগুলি রয়েছে যথাক্রমে ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত কার্যালয় ও মলানদিঘি পঞ্চায়েতে। ব্লক প্রাণিবিকাশ দফতরের আধিকারিক ছাড়া ব্লক পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অতিরিক্ত পশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মোট তিন জন চিকিৎসক থাকা দরকার। কিন্তু এই মুহূর্তে ব্লক আধিকারিক ছাড়া এক জন মাত্র পশু চিকিৎসক রয়েছেন, তা-ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে।

এই দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও কাঁকসা ব্লকের ত্রিলোকচন্দ্রপুর, বনকাটি, গোপালপুর, বিদবিহার ও আমলাজোড়া পঞ্চায়েতে একটি করে প্রাণিবিকাশ সহায়ককেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকেই প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকার পশুদের টিকা দেওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু আমলাজোড়া ছাড়া অন্য কোনও পঞ্চায়েতেই সহায়ককেন্দ্র চালু নেই। এই পরিস্থিতিতে নষ্ট হচ্ছে সহায়ককেন্দ্রের ভবনগুলি।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় প়ড়ছেন এলাকাবাসী। তাঁরা জানান, বর্ষায় গবাদি পশুর রোগে আক্রান্ত হএয়ার প্রবণতা বাড়়ে। কিন্তু সরকারি পরিষেবা বেহাল হওয়ায় ছুটতে হয় স্থানীয় পশু চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু সেই সব চিকিৎসকদের কাছে অনেক সময়েই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ থাকে না। অথবা থাকলেও তার খরচ পড়ে অনেক বেশি। সহায়ককেন্দ্রগুলি চালু না থাকায় গবাদি পশুর টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।

তা ছাড়া দূরত্বগত সমস্যাও রয়েছে। বিদবিহার এলাকার বাসিন্দা মনোজ মণ্ডল, গৌতম ঘোষেরা জানান, এই এলাকা থেকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দূরত্ব অনেকটাই বেশি। মলানদিঘি পঞ্চায়েতে অতিরিক্ত ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও, সেখানে কোনও চিকিৎসক না থাকায় লাভ হয় না। বিষয়টি নিয়ে প্রাণিবিকাশ দফতরের ব্লকের আধিকারিক সঞ্জয় আকুলি বলেন, ‘‘সহায়ককেন্দ্রগুলি চালু না থাকায় আমাদেরও নানা সমস্যা হচ্ছে। সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন