দীর্ঘ দিন সংস্কার হয় না। মজে গিয়েছে বেহুলা নদী। কালনায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
সুলতানপুর এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও প্রসবের ব্যবস্থা নেই। সব দিন বহির্বিভাগো খোলা থাকে না। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির জন্য নতুন ভবন তৈরি হলেও সেটি চালু হয়নি। বহু মানুষের ভরসার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি কী ভাবছে?
জগবন্ধু মণ্ডল, গোপালপুর
সভাপতি: সুলতানপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নিয়ে ব্লক এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে এর মধ্যেই কথা বলা হবে। চেষ্টা করা হবে দ্রুত সমস্যা সমাধান করার।
বেহুলা নদী রয়েছে। অথচ কৃষিনির্ভর এলাকা হওয়া সত্ত্বেও নদী সংস্কার হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। হাটকালনা পঞ্চায়েত এক বার কিছুটা সংস্কার করলেও বেশির ভাগ অংশ মজে গিয়েছে। নদী সংস্কার হলে বোরো এবং পেঁয়াজ চাষের মরসুমে চাষিদের জল পেতে সুবিধে হয়। তার সঙ্গে ধর্মডাঙা থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত একটি রাস্তা হলে চাষিরা সহজে ফসল বাড়ি আনতে পারেন।
আহমেদ আলি শেখ, রংপাড়া
সভাপতি: বেহুলা নদী সংস্কারের প্রয়োজন সত্যিই রয়েছে। নদীটি সংস্কার হলে আশেপাশের মীরপুর, কোলডাঙা, রংপাড়া, ধর্মডাঙা, গোয়ারা, নিভুজি-সহ বেশ কিছু গ্রামের চাষিরা উপকৃত হবেন। পঞ্চায়েত সমিতির পরিকল্পনাও রয়েছে এনআরইজিএস প্রকল্পে নদী সংস্কার করার।
একটু ভারী বৃষ্টি হলেই বুলবুলিতলা বাজারে জল জমে যায়। সমস্যায় পড়েন ক্রেতা-বিক্রতারা। কিছু করা যায়?
হাসিবুল শেখ, উৎরা
সভাপতি: পঞ্চায়েত সমিতি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে বুলবুলিতলা বাজারের নিকাশি নালাগুলি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়াই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তা ছাড়া নালায় আবর্জনা পড়ে থাকার কারণেও নিকাশি সমস্যা হয়। পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হবে।
নিভুজি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার পর্যন্ত আধ কিলোমিটার রাস্তা মাত্র মাস ছয়েক আগে জেলা পরিষদ তৈরি করেছে। কিন্তু আবার বেহাল হয়ে পড়েছে সেটি। এর মূল কারণ রাস্তাটিতে নিকাশি সমস্যা থাকায় জল জমে থাকে দীর্ঘক্ষণ।
অসিত মজুমদার, গোয়ারা
সভাপতি: পঞ্চায়েত সমিতির তরফে ওই এলাকা পরিদর্শন করে সমস্যা কোথাও দেখা হবে। এরপরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রংপাড়া পশ্চিম অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে প্রতিদিন এলাকার বহু শিশু পড়তে যায়। অথচ কেন্দ্রটির বিপজ্জনক দশা। কংক্রিটের খুঁটি তো বটেই দেওয়ালের আরও নানা জায়গায় ফাটল দেখা গিয়েছে। সমস্যার সমাধান হবে কবে?
বাসুদেব খা, রংপাড়া
সভাপতি: সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতি এই সমস্যার কথা জানতে পেরেছে। খুব দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
নান্দাই পঞ্চায়েতের উত্তর রামেশ্বরপুর থেকে খড়িনান পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। মোরামের রাস্তাটিতে বর্ষাকালে জল-কাদা জমে হাঁটাচলা মুশকিল হয়ে পড়ে। অথচ এলাকার ছ’টি গ্রামের বাসিন্দাদের হাসপাতাল, পঞ্চায়েত-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। রাস্তাটির মাত্র ১৮০০ ফুট ঢালাই হয়েছে। পুরোটা কবে হবে?
বাপি কোলে, উত্তর রামেশ্বরপুর
সভাপতি: সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের। তবে সম্প্রতি ওই রাস্তাটির ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর উদ্যোগেই সম্প্রতি ওই রাস্তাটির কিছুটা অংশ ৮ ইঞ্চি গভীর এবং ১০ ফুট চওড়া করা হয়েছে। রাস্তা সারাইয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। রাস্তার বাকি অংশটাও যাতে দ্রুত সারানো যায় যায় সে ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি।
ধাত্রীগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বহু বছর ধরে মোহেলি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। তাঁদের জীবিকা বাঁশ থেকে ঝুরি, পাটি, কুলো বোনা। হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত এই মানুষেরা যাতে নিজেদের পণ্যের ভাল বাজার পান, তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা আছে?
অমল বসাক, ধাত্রীগ্রাম
সভাপতি: ইতিমধ্যেই বিষয়টি নজরে এসেছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের। ওই দফতরের মন্ত্রীর উদ্যোগে ওই মানুষদের জন্য একটি ক্লাস্টারও তৈরি হচ্ছে। যেখানে একই ছাতার তলায় শিল্পীরা নানা সুবিধা পাবেন। পঞ্চায়েত সমিতিও ওদের পাশে রয়েছে।
নিভুজি মোড় থেকে হরিশঙ্করপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তাটির দুর্দশা চোখে দেখা যায় না। কালনা এবং মেমারির সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তাটিতে ছোটবড় একাধিক গর্ত তৈরি হয়েছে। তাতে গাড়ি পড়ে লাগাতার যন্ত্রাংশ ভাঙছে। রাস্তা কী সারবে না?
সুখেন চক্রবর্তী, কলডাঙা
সভাপতি: ওই রস্তাটির বিষয়টি নজরে এসেছে। পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে।
সুলতানপুর তুলসীদাস বিদ্যামন্দিরে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রতিবছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এলাকায় একটি মহিলা বিদ্যালয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতি কী ভাবছে?
সুখেন্দু মণ্ডল, সুলতানপুর
সভাপতি: সুলতানপুর পঞ্চায়েত এলাকাটি বড়। ওখানে আর একটি উচ্চবিদ্যালয় হলে ভাল হয় ঠিকই। বিষয়টি জেলা স্কুল পরিদর্শকের নজরে আনা হবে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের সিমলন প্রকল্পটির অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে চারটি পাম্প। এখান থেকে জল পান শাঁখাটি এবং মোসলেমাবাদ এলাকার মানুষ। অথচ গুপ্তিপুর, সূর্যপুর, সিমলন গ্রামে খুব সরু হয়ে জল মেলে। প্রকল্পটির হাল ফেরানো খুবই দরকার।
তারক প্রামাণিক, সূর্যপুর
সভাপতি: পঞ্চায়েতের কাছে বিষয়টি জেনে পঞ্চায়েত সমিতি জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের সঙ্গে কথা বলবে।
ধাত্রীগ্রাম এলাকার পূর্ত দফতরের গোডাউন থেকে গ্রাম কালনার মুক্তকেশীতলা পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা। অথচ এই রাস্তাটি দিয়ে এলাকার বহু মানুষ যাতায়াত করেন।
জগন্নাথ বসাক, ছোট স্বরাজপুর
সভাপতি: ধাত্রীগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এখানে বহু তাঁত শিল্পীর বাস। রাস্তাটি পাকা করার ব্যাপারে উদ্যোগ করা হবে।