পাচারে জামিন, পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির নালিশ

ফের পুলিশের গাফিলতিতে জামিন পেয়ে গেল অভিযুক্তরা। এ বারে অভিযোগ উঠেছে আউশগ্রাম থানার বিরুদ্ধে। আইনজীবীরা জানান, রবিবার রাতে অভিরামপুরের একটি লজে হানা দিয়ে আউশগ্রামের পুলিশ দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০২
Share:

ফের পুলিশের গাফিলতিতে জামিন পেয়ে গেল অভিযুক্তরা। এ বারে অভিযোগ উঠেছে আউশগ্রাম থানার বিরুদ্ধে।

Advertisement

আইনজীবীরা জানান, রবিবার রাতে অভিরামপুরের একটি লজে হানা দিয়ে আউশগ্রামের পুলিশ দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে। ওই লজের মালিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা আদালতে তোলে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে মহিলা পাচার সংক্রান্ত মামলা রুজু করা হয়। আউশগ্রাম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করেন ওই থানার সাব ইনস্পেক্টর বিনোদ মাহতো। তাঁর দাবি, সোমবার দুপুরে ওই দুই কিশোরীকে নিয়ে লজের ভিতর ঢোকেন পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার গলসির এক যুবক। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক ঘন্টা পরেই এক কিশোরী ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুরু করে দেয়। তখন তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে কিশোরীদের উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, ওই কিশোরীকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়।

এ দিন আদালতে মামলা উঠলে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বিচারকের নজরে আনেন, মহিলা পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কোনও এসআই করতে পারে না। এই ধরণের মামলার তদন্ত করতে পারেন ইন্সপেক্টর মর্যাদার কোনও আধিকারিক। কিন্তু আউশগ্রাম থানার আইসি এই মামলার তদন্তভার দিয়েছেন এসআই দীপক পালকে। অভিযুক্তদের অন্যতম আইনজীবী জাহির জামাল মল্লিক বলেন, “আমরা পুলিশের গাফিলতি তুলে ধরে বিচারকের কাছে জামিন চেয়েছিলাম। বিচারকও আমাদের মতো বিস্ময় প্রকাশ করেন।” এরপরেই সিজেএম ধৃতদের জামিন দিয়ে দেন। একই সঙ্গে কিশোরীর গোপন জবানবন্দীরও আর্জিও বিচারক খারিজ করে দেন। সরকারি আইনজীবী চন্দ্রনাথ গোস্বামীও বলেন, “আউশগ্রাম থানা এ রকম কেন করল, বুঝতে পারছি না।”

Advertisement

এ মাসেই গলসিতে চোলাই মদ বিক্রিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভুল ধারা প্রয়োগ করেছিল পুলিশ। ফলে, ধৃতরা একদিনের মাথাতেই জামিন পেয়ে যায়। তারপরে আবার এ ঘটনা। এ দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ রকম তো হওয়ার ঘটনা নয়। সত্যিই যদি এই ঘটনা হয়, তাহলে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।’’ আউশগ্রামের আইসি ইমতিয়াজ খানের যদিও দাবি, “তল্লাশির সময় ইন্সপেক্টরকে থাকতে হয়। কিন্তু এসআইকে দিয়ে তো তদন্ত করানো যায়! আগেও তো হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন