গরমিলে ব্যাঙ্কেরও দায়, দাবি পুলিশের

রিপোর্টে পুলিশ দাবি করেছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক লক্ষ টাকার কয়েন জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে। পরের সপ্তাহেই ফের জমা পড়েছে ৬ লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেমারি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:১৮
Share:

মেমারির ব্যাঙ্কে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত। নিজস্ব চিত্র

ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সরানোর পিছনে আধিকারিকদের গাফিলতি ছিল বলে বর্ধমানের এসিজেএম রতনকুমার গুপ্তের কাছে রিপোর্ট জমা দিল মেমারি থানার পুলিশ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, নোট গোনা হলেও মাসের পর মাস ব্যাঙ্কের ভল্টে জমা পড়া কয়েন বের করে গোনা হয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন ধৃত ব্যাঙ্ক কর্মী তারক জয়সওয়াল।

Advertisement

রিপোর্টে পুলিশ দাবি করেছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক লক্ষ টাকার কয়েন জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে। পরের সপ্তাহেই ফের জমা পড়েছে ৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ সেই দিনের হিসাবে ব্যাঙ্কের ভল্টে মজুত ১ কোটি ২ লক্ষ টাকারও বেশি কয়েন। অথচ তা গোনা হয়নি, কারও সন্দেহও হয়নি। পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে প্রতিদিন জমা-খরচের হিসেব জমা পড়ে। সেখানে নোট-কয়েনের পরিমাণ লেখা থাকে। তার পরেও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নজরে পড়ল না কেন?’’

মঙ্গলবার তিন দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে তারককে ফের আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তারককে নিয়ে বাদামতলা ও নতুনপল্লির বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ লটারিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন