ভরদুপুরে ব্যাঙ্কে লুঠপাট

দুপুর পৌনে তিনটে। কাজ চলছে জোরকদমে। আচমকা হিন্দি মেশানো বাংলায় চিৎকার— ‘কথা বললেই গুলি।’ শুক্রবার এ ভাবেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাজোড়া শাখায় চড়াও হল জনা সাতেক দুষ্কৃতী। চলল লুঠপাটও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫১
Share:

দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পরে।—নিজস্ব চিত্র।

দুপুর পৌনে তিনটে। কাজ চলছে জোরকদমে। আচমকা হিন্দি মেশানো বাংলায় চিৎকার— ‘কথা বললেই গুলি।’ শুক্রবার এ ভাবেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাজোড়া শাখায় চড়াও হল জনা সাতেক দুষ্কৃতী। চলল লুঠপাটও।

Advertisement

গ্রাহক ও ব্যাঙ্ককর্মীরা জানান, মুখ ঢাকা অবস্থায় পাঁচ জন ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ে। দু’জন দাঁড়িয়ে ছিল ব্যাঙ্কের বাইরে। ব্যাঙ্কে ঢোকা পাঁচ জনের মধ্যে দু’জন দুষ্কৃতী কাউন্টারের সামনে থাকা কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিতে শুরু করে। অন্য তিন জন দুষ্কৃতী প্রায় ১৫ জন গ্রাহক ও ব্যাঙ্ককর্মীদের একটি জায়গায় বসিয়ে রাখে। সিসিটিভি-র তার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় কম্পিউটারের ইউপিএস। এরপরেই দু’টি কাউন্টারে শুরু হয় লুঠপাট।

অমিয়কুমার চৌধুরী নামে এক গ্রাহক জানান, ১০ মিনিট পরে বাইরের কেউ দুষ্কৃতীদের এক জনকে ফোন করে। ফোন পেয়ে সকলে চম্পট দেয়। ১৫ মিনিট বাদে এডিসিপি (পূর্ব) বিমলকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী ব্যাঙ্কে আসে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, আনুমানিক ৫ লাখ টাকা লুঠ করেছে দুষ্কৃতীরা। যদিও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুদামকুমার মল্লিক বলেন, ‘‘যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।’’

Advertisement

ঘটনার পরেই নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, থানার সঙ্গে সংযোগ থাকা ব্যাঙ্কের বিপদঘণ্টিটি কাজ করেনি। ব্যাঙ্কের অস্থায়ী কর্মী নারায়ণচন্দ্র সা‌উয়ের ক্ষোভ, ‘‘বাজারের মধ্যে থাকা ব্যাঙ্কে দিনেদুপুরে এমন ঘটনা ভাবতে পারছি না।’’ স্থানীয় বিধায়ক রুনু দত্তের ক্ষোভ, ‘‘কাজের সময়ে ব্যাঙ্কের বাইরে পুলিশকর্মীদের থাকার কথা, তা ছিল না।’’ যদিও পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনার দাবি, ‘‘দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। দ্রুত সকলেই ধরা পড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement