St Xaviers College

হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ, ধন্দ ছাত্রের মৃত্যুতে

ওই ছাত্রের পরিবারের দাবি, মানসিক সমস্যার কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ দিন মৃতের বাবা মুনু মুর্মু ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:২৮
Share:

তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ছাত্রের, এমনই দাবি বর্ধমান শহরের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র সৌমেন মুর্মুর (২০) দেহ মেলে। জেলা পুলিশের কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়। ডিএসপি (২) রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘‘একজন ছাত্র ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিল বলে দাবি করেছে মেমারির পাল্লা সাহাপুরের ওই পরিবার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন সৌমেন, তিনি সেখানকার প্রাক্তন আবাসিক ছিলেন। শুক্রবার সকালেই হস্টেলে এসে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন ইংরেজির ওই ছাত্র। কিছুক্ষণ পরেই হস্টেলের নীচে তাঁর রক্তাক্ত দেহ মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সৌমেনের মাথায় ও চোখে রুমাল জড়ানো ছিল। ওই হস্টেলের পাশেই থাকেন ঝুমা ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘‘খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি, একটা ছেলে মুখ, চোখ রুমালে বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ যদিও ঘটনা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বা হস্টেলের অন্য ছাত্ররা কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। অধ্যক্ষ মারিয়া জোসেফ সাভারিয়াপ্পনও কিছু বলতে চাননি। কলেজের একটি সূত্রের দাবি, শান্ত এবং বাধ্য ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন সৌমেন।

ওই ছাত্রের পরিবারের দাবি, মানসিক সমস্যার কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ দিন মৃতের বাবা মুনু মুর্মু ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী মুনু জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে ছেলের মানসিক চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। সেই কারণেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এক আত্মীয় গোবিন্দ বেসরা বলেন, ‘‘প্রণয়ঘটিত বা বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা কিছু ছিল না বলেই জানি। সৌমেন সহজ, সরল ছেলে ছিল। কেন এ রকম ঘটল কিছু বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগও করেননি তাঁরা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না-তদন্তের পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফিকরা হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন