Bardhaman women Police Station

‘ওঁ প্রজাপতয়ে নমঃ’! বিয়েবাড়ি থুড়ি দীপাবলিতে বাহারি আলোয় সাজল থানা

দীপাবলি উপলক্ষে থানায় পুজো হয়। পুলিশের উদ্যোগে বিয়ে দেওয়ারও নজির আছে। তা বলে থানাতেই বিয়ে! এ তো আর লজ নয়!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ০২:২৭
Share:

বর্ধমান মহিলা থানায় আলোকসজ্জা। —নিজস্ব চিত্র।

সাজ সাজ রব। মহিলা থানার উদ্যোগে তাই আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছিল জেলাশাসকের দফতর ও মহিলা থানা চত্বর। মহিলা থানায় কি বিয়ের আসর! সোম এবং মঙ্গলবারে বর্ধমান মহিলা থানাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ এবং কৌতূহল দেখা গেল স্থানীয় ও পথচারীদের মধ্যে। পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের দফতর লাগোয়া মহিলা থানা আলোয় আলোময়। রঙিন টুনি আর আলোর বিভিন্ন নকশা তাক লাগাতে বাধ্য। দীপাবলি উপলক্ষে থানায় পুজো হয়। পুলিশের উদ্যোগে বিয়ে দেওয়ারও নজির আছে। তা বলে থানা চত্বরে বিয়ে! এ তো আর লজ নয়!

Advertisement

দূর থেকে দেখলে মনে হতেই পারে বর-কনে আসতে বেশি দেরি নেই। কিন্তু থানার ভিতরে ঢুকতেই ভেঙে গেল সমস্ত ভুলভাল অনুমান। মহিলা থানার উদ্যোগেই চত্বর লাগোয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয়েছে কালীপুজো। আর তার জন্যই এই জমকালো আলোকসজ্জা। তবে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে একটি প্রজাপতি। সত্যিকারের নয়, আলোর। যেমনটা দেখা যায় বিয়েবাড়িতে। সেই প্রজাপতিই থানার আধিকারিক ও কর্মীদের চোখ এড়িয়ে ‘জাঁকিয়ে’ বসেছে। তাই বিয়ের বিয়ের আয়োজন ভেবে ভুল করছেন অনেকেই। সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পরে ‘বিভ্রান্তিকর’ প্রজাপতিকে মোবাইলবন্দি করে চলছে হাসি-তামাশাও। এই নিছক ভুল যেন পুজোর আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।

এই বিষয়ে থানার এক আধিকারিক কিছুটা লজ্জিত হয়েই বলেন, ‘‘পুজো উপলক্ষে সাজানোর জন্য ডেকোরেটরের লোকেরা টুনি লাইটের সঙ্গে সাজানোর জন্য তাঁদের কাছে থাকা প্রজাপতির সেটটিও লাগিয়ে দিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর আগে মহিলা থানা তৈরি হয়েছিল। মাস খানেক আগে থানার সামনে থাকা ভাঙাচোরা অংশ সারিয়ে সেখানে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন পাতাবাহার গাছে কোষাগার ভবনের সামনের দিকের রাস্তা সেজে উঠেছে। ‘পুজোর সাজ’ প্রসঙ্গে এলাকার ব্যবসায়ী প্রবীর রায় ও শেখ আব্দুল বলেন, ‘‘রঙিন আলোর প্রজাপতি দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম থানায় বুঝি বিয়ের আসর বসেছে। কিন্তু পরে জানতে পারলাম, বিয়ে নয়। মহিলা থানায় কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।’’

Advertisement

থানায় কালীপুজো অবশ্য নতুন নয়। বিভিন্ন থানাতেই তা হয়। আঞ্চলিক ইতিহাসে কথিত আছে, ডাকাতি করতে বের হওয়ার আগে ডাকাতেরা কালীপুজো করে তবে বের হত। তাদের ধরার জন্য অভিযানে বের হওয়ার আগে পুলিশেরাও থানায় কালীপুজো শুরু করেছিল। সেই থেকেই থানায় কালীপুজোর চল। এ বারের মহিলা থানার পুজোয় বাড়তি আনন্দের মাত্রা যোগ করল ‘বিবাহ বিভ্রান্তি।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement