হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির বিজয় মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানে এক বিজেপি কর্মীকে তাক করে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায়, দলের পাঁচ জন জখম বলে বিজেপির অভিযোগ। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বুধবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার ধবনি গ্রামের ঘটনা।
এই ঘটনাটি নিয়ে ট্যুইটারে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। সেখানে তিনি ফরিদপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় ও প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের সামনেই বিজেপি কর্মী কাজল হাজরাকে তাক করে গুলি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ করেন বাবুল। অভিযুক্তেরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল ১০টায় গ্রামে দলীয় সমর্থকদের নিয়ে বিজয় মিছিল বার করে বিজেপি। ধবনি গ্রাম থেকে মিছিলটি শেষ হয়ে মোড়ের দিকে এসে সকলে জড়ো হন। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময়েই প্রায় শ’খানেক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এলাকায় এসে শূন্যে গুলি ছুড়তে শুরু করে। বিজেপির আরও অভিযোগ, মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ার সময়েও দলের লোকজনকে তাক করে গুলি ছোড়ে তৃণমূলের লোকজন। গুলি লাগে কাজলবাবুর ডান পায়ে। মাধব বাগদি নামে অন্য আরও এক জনের পা ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায় বলে বিজেপির অভিযোগ।
বিজেপির আরও অভিযোগ, এ ছাড়া দলের লোক জনকে লাঠি, রড, বাঁশ দিয়েও মারধর করে তৃণমূল। মাথায় চোট পান বিমান টুডু নামে এক বিজেপি সমর্থক। বিজেপি নেতা সুজন সূত্রধরের অভিযোগ, ‘‘বিমানবাবু-সহ দলের পাঁচ জন কর্মী জখম হয়েছেন। কাজলবাবু ও বিমানবাবুকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।’’ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাজলবাবু বলেন, ‘‘ওরা আচমকা আমাদের উপরে হামলা করে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি চালায় তৃণমূল।’’ মাধববাবুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বিজেপির আসানসোল জেলা সম্পাদক জিতেন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পুলিশের অনুমতি নিয়েই এই মিছিল হয়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিতবাবুর নেতৃত্বে হামলা চলে বলে জিতেনবাবুর অভিযোগ। যদিও সুজিতবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি মিছিল করার সময়ে উপপ্রধান সঞ্জয়বাবুকে মারধর করে। তারই প্রতিরোধ করা হয়। আমাদের কেউ গুলি চালায়নি। ওটা বিজেপিরই কাজ।’’ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার পুলিশ। এলাকায় পুলিশ ও র্যাফ রুট মার্চ করে। রাত পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশি টহলদারি চলছে। রয়েছে পুলিশ পিকেটিংও। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদী অবশ্য বলেন, ‘‘এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। এলাকায় পুলিশি টহলদারি চালানো হচ্ছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।