সভায় দিলীপবাবু। নিজস্ব চিত্র
কিছুদিন আগেই প্রচারে এসে মার খেয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেতা জর্জ বেকার। ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এক তৃণমূল কাউন্সিলরের। এ বার কালনায় এসে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর আক্রমণের মূল নিশানা ছিলেন কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ। সঙ্গে পাহাড় থেকে বসিরহাটের গোলমাল— সবের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেন তাঁরা। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদবাবুর জবাব, ‘‘দিলীপবাবু এমন এক জন মানুষ যিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলেও তাদের সম্মানহানি করতেন। ওঁর কথায় প্রতিক্রিয়া দেব না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বক্তব্যের এক জায়গায় আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এফআইআর করা যায় কি না, তা নিয়ে দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’
এ দিন মঞ্চ থেকে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমাদের সাংসদকে মারের পরে এ শহরের চেয়ারম্যান বলে দিলেন এটা আমাদের নিজেদের গণ্ডগোল। অথচ আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম এক জন কাউন্সিলর দাঁড়িয়ে থেকে মারধরে মদত দিয়েছেন। আমি চেয়ারম্যানকে বলতে চাই, ওরা যে দিন আপনাকে পালিশ করবে সে দিন আর এ কথা বলার সুযোগ পাবেন না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্যের সীমানা পেরোলেই আমরা। তখন সব হিসাব সুদে আসলে বুঝে নেব।’’ সাংসদকে মারের ঘটনার পরে কালনায় একাধিক বার পথে নেমেছে বিজেপি। কখনও মিছিল, কখনও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত পাঁচ জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ দিন বিজেপিকে সুশৃঙ্খল দল বলে দাবি করেন দিলীপবাবু। সভাপতির দাবি, সম্প্রতি পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনে চারটিতে জিতেছে বিজেপি। সেখানে কেউ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট লুঠ, দখলের অভিযোগ তোলেনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বালি চুরি, কলেজে ভর্তির নামে টাকা লুঠেরও অভিযোগ করেন তিনি। দিলীপবাবুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল চোর, পকেটমারের দল। এমন কোনও নদী নেই যেখানকার বালি ওরা চুরি করে নি।’’ পাহাড় নিয়েও মুখ খুলতে শোনা যায় তাঁকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘পাহাড়ে গুরুঙ্গ যখন গুরুং গুরুং আওয়াজ শুরু করে তখন মুখ্যমন্ত্রী আর নামতে পারছিলেন না। শেষে সেনাবাহিনীর সাহায্যে তাঁকে নামাতে হয়।’’ একই সুর শোনা যায় সায়ন্তনবাবু ও রাজ্য কমিটির সদস্য রাজীব ভৌমিকের কথাতেও।