বিজেপির সভা ঘিরে আবার চাপানউতোর

সম্প্রতি দুর্গাপুরে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরেও সেখানে সভা করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০০:১৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিজেপি-র সভা নিয়ে ফের চাপান-উতোরের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে জেলায়। পাণ্ডবেশ্বরের শ্যামসুন্দরপুরে ১৫ নভেম্বর জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি-র। কিন্তু পুলিশের তরফে সোমবার পর্যন্ত সেই সভার অনুমতি মেলেনি। বিজেপি নেতাদের দাবি, পুলিশ অনুমতি না দিলেও সে দিন ওই মাঠেই সভা করা হবে। সভায় লোক জমায়েত করতে বুথ থেকে জেলা স্তরে দলের বৈঠকও চলছে বলে জানান তাঁরা। সোমবার আসানসোলে বিজেপি যুব মোর্চার সম্মেলনেও ওই সভায় ভাল জমায়েতের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়।

Advertisement

সম্প্রতি দুর্গাপুরে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরেও সেখানে সভা করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলাও করে পুলিশ। ১৫ নভেম্বর ফের পাণ্ডবেশ্বরের শ্যামসুন্দরপুর দুর্গামন্দির মাঠে সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। সেখানে দিলীপবাবু ছাড়াও থাকার কথা আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের।

যে মাঠে সভার আয়োজন হচ্ছে সেটি ইসিএলের। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসিএলের কাছে সভা করার জন্য ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্র নেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের কাছেও সভা করার অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ তা এখনও দেয়নি। উল্টে, সভাস্থল পাল্টানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা পুলিশকে স্পষ্ট জানিয়েছি, সভাস্থল পরিবর্তন করা হবে না।’’ তাঁর দাবি, ইসিএলের তরফে যেহেতু মাঠ ব্যবহারের ছাড়পত্র মিলেছে, তাই পুলিশ অনুমতি না দিলেও সেখানেই সভা করবেন তাঁরা। পুলিশের আধিকারিকেরা অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি।

Advertisement

এই সভায় অন্তত ২০ হাজার লোক জমায়েত করা হবে বলে দাবি বিজেপি জেলা নেতৃত্বের। দলের একটি সূত্রের দাবি, লোক জড়ো করার জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে কুলটি, বরাকর, চিনাকুড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের চিরকুণ্ডা, কুমারডুবি, মিহিজাম, জামতাড়া থেকেও দলের কর্মী-সমর্থকদের আনার পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও জেলা সভাপতি লক্ষ্মণবাবুর দাবি, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে সভার মাঠ ভরানোর প্রয়োজন হবে না। দলের নেতা-কর্মীদের রাজবাঁধ থেকে বরাকর পর্যন্ত এলাকার লোকজনকে আনার নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ড থেকে দলের লোকজন এলে তাঁদের ফেরানো হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন