মেয়রের পাশে বিজেপি, বিতর্ক

বুধবারই মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা বাংলার পরিবর্তে হিন্দিতে হওয়ায় বিতর্ক বাধে। বিতর্কের জেরে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাও দেন মেয়র দিলীপ অগস্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

কলেজের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক হয়েছিল দুর্গাপুরের একটি কলেজে। সেই বিতর্কে তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভার মেয়রের পাশে দাঁড়াল বিজেপি! তা নিয়ে রাজনৈতিক গুঞ্জনও শুরু হয়েছে শহরে। শুক্রবার কলেজের সামনে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবিতে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

Advertisement

বুধবারই মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা বাংলার পরিবর্তে হিন্দিতে হওয়ায় বিতর্ক বাধে। বিতর্কের জেরে কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাও দেন মেয়র দিলীপ অগস্তি। এর পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির ‘গুণীজন সেল’ ওই ঘটনা নিয়ে মহকুমাশাসকের (দুর্গাপুর) অফিসে স্মারকলিপি দেয়। সেলের আহ্বায়ক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হিন্দির পাশাপাশি, মাতৃভাষাকেও যথাযোগ্য সম্মান দিতে হবে। মাতৃভাষাকে অসম্মান করার অর্থ সংবিধানকে অপমান করা। তা মানা যায় না। ওই কলেজে দুর্গাপুরের মেয়রকে যে ভাবে অসম্মানিত হতে হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছি আমরা।’’ ওই স্মারকলিপিতেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

এর পরেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ভারতবর্ষকে বিজেপি-ই ‘এক ভাষার’ দেশে পরিণত করতে চাইছে। তৃণমূল এর বিরোধী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এ সব বলে বিজেপি নেতৃত্ব আসলে সহানুভূতি পেতে চাইছেন।’’ তবে বিজেপি নেতা অমিতাভবাবুর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাভাষীদের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা বাংলাতেই হোক, এটাই চেয়েছিলেন মেয়র। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আমরা এক মত। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।’’

Advertisement

তবে এই চাপানউতোর যাঁকে নিয়ে সেই দিলীপবাবু অবশ্য বিতর্ক থেকে দূরেই থাকতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সে দিন যা হওয়ার প্রকাশ্যে হয়েছিল। হিন্দিতে সঞ্চালনা হওয়ার দায় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে আমার ঘাড়ে নিয়ে ত্রুটি স্বীকার করেছি। এর পরে কে আমার পদক্ষেপকে সমর্থন করলেন বা কে বিরুদ্ধে বললেন, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

শুক্রবার ওই কলেজের সামনে বাংলা ভাষার অবমাননা করা হচ্ছে এবং কোনও নির্দেশের জেরে অন্য একটি ভাষাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখায় দু’টি সংগঠন। একটি সংগঠন কলেজে গিয়ে স্মারকলিপিও দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন