রাহুলকে পেয়ে পরপর নালিশ

যদিও বিজেপির কাটোয়া বিধানসভার পর্যবেক্ষক রানাপ্রতাপ গোস্বামীর দাবি, উনি ওই কর্মীর কাজ না পাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। দলের তরফেও সমস্ত অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৭ ০০:৪২
Share:

কর্মীর বাড়িতে রাহুল। নিজস্ব চিত্র

দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সেরে সবে হাত ধুয়েছেন রাজ্য নেতা, এমন সময় হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে এলেন আর এক কর্মী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পতাকা টাঙিয়েছি বলে একশো দিনের কাজে হাত দিতে দিচ্ছে না পঞ্চায়েত।’’

Advertisement

সোমবার কাটোয়ার মুস্থুলী গ্রামে এমনই পরিস্থিতির মুখোমুখি হন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। এক কর্মী অভিযোগ জানাতেই পরপর ফসলের ক্ষতি, কাজ না পাওয়ার অভিযোগ জানাতে থাকেন অন্যরা। তাঁদের দাবি, রাহুল সিংহ কোনও উত্তর, আশ্বাস না দিয়েই চলে যান। ক্ষোভ ছড়ায় দলের একাংশেও।

যদিও বিজেপির কাটোয়া বিধানসভার পর্যবেক্ষক রানাপ্রতাপ গোস্বামীর দাবি, উনি ওই কর্মীর কাজ না পাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। দলের তরফেও সমস্ত অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

Advertisement

এ দিন দলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে বিস্তারক হিসেবে ওই গ্রামে যান রাহুল সিংহ। মাঝিপাড়ার এক কর্মী প্রভাত মাঝির বাড়িতে ডাল, আলু ভাজা, আলু পোস্ত দিয়ে দুপুরের খাওয়া সারেন। জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ, পর্যবেক্ষক রানাপ্রতাপ গোস্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার পাঁচটি বাড়িতেও যান। বেরনোর সময় স্থানীয় ভরত মাঝি অভিযোগ করেন, সকালে দলের পতাকা টাঙানোর সময় একশো দিনের কাজের দুই সুপারভাইজার তৃণমূলের হারু মণ্ডল ও অদ্বৈত মণ্ডল তাঁকে বাধা দেন। ‘বেশ দেখছি’ বলে গাড়িতে ওঠেন রাহুলবাবু। তখনই পরপর আসে অভিযোগ, ক্ষোভ।

ওই পাড়ারই সুমিত্রা মাঝি, বিশ্বনাথ মাঝিরা বলতে শুরু করেন, কালবৈশাখির ঝড়ে বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তর না পেয়ে ক্ষুব্ধও হন অনেকে। রাহুলবাবু অবশ্য ততক্ষণে গাড়িতে চড়ে দাঁইহাট রওনা দিয়েছেন। বিকেলে দাঁইহাটে দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সাথে বৈঠকও করেন তিনি।

তবে কাজে বাধার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন জগদানন্দপুর পঞ্চয়েত প্রধান চায়না দাস। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। তাই রাস্তা তৈরির কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়ার দাবি ভিত্তিহীন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন