শিবিরে রক্ত দিচ্ছেন এক দম্পতি। দুর্গাপুরের বিধাননগরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
কেউ বেড়াতে যান, কেউ আবার সিনেমা দেখে বা রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করে উৎযাপন করেন। ভ্যালেন্টাইনস ডে সে ভাবেই পালন করেন বেশির ভাগ প্রেমিক-প্রেমিকা। এ বার সেই দিনটি একটু অন্য ভাবে কাটালেন দুর্গাপুরের কিছু তরুণ-তরুণী। শহরে এক রক্তদান শিবিরি গিয়ে রক্ত দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করলেন তাঁরা।
ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে মঙ্গলবার দুর্গাপুর শহরে ছিল নানা প্রস্তুতি। দোকানে-দোকানে কেনাকাটায় বিশেষ ছাড়, উপহার সামগ্রীর দোকানে লম্বা লাইন। চকোলেট, গোলাপ কিনতে ভিড়। পার্কগুলিও সেজে উঠেছিল। আবার হোটেল-রেস্তোঁরায় বিশেষ পদের আয়োজন। সারা দিন সেই সব জায়গায় ভিড় লেগে ছিল।
বিধাননগরের ব্যবসায়ী নয়নরঞ্জন ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী সুরভি ঘোষ অবশ্য অন্য ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এই দিনটি। ‘দুর্গাপুর মহকুমা ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ শহরের বিধাননগরে এক বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। সেই খবর পেয়ে তাঁরা সটান সেখানে হাজির হয়ে যান। রক্তদান করেন দু’জনেই। তাঁদের কথায়, ‘‘ভালবাসা ছড়িয়ে দিতে রক্তদানও তো একটা মাধ্যম।’’ বিধাননগরেরই বাসিন্দা, দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমি়টেডের কর্মী সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মিঠু বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই সিদ্ধান্ত নেন এ দিন। তাঁরাও বলেন, ‘‘একটু অন্য রকম ভাবে কাটাতে চেয়েছিলাম। তাই এই উদ্যোগে সামিল হলাম।’’
রক্তদাতা সংগঠনের সম্পাদক কবি ঘোষ জানান, এ দিন মোট ২২ জন রক্ত দিয়েছেন। সবাই নতুন প্রজন্মের। সগড়ভাঙার একটি বেসরকারি কলেজ থেকে পড়ুয়ারা এসেছিলেন দল বেঁধে। তিনি বলেন, ‘‘ভালবাসার দিন হিসেবে এই দিনটি পরিচিত। এমন দিনে অনেকেই মন খুলে এগিয়ে আসেন।’’ তিনি আরও জানান, সারা বছরই শিবিরের আয়োজন করা হয়। তবু অনেকে আসতে পারেন না। তাই বছরের বিশেষ কিছু দিনের গুরুত্ব কাজে লাগিয়ে মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়াস নিয়েছে তাঁদের সংগঠন।