এই সেতু দিয়েই চলে যাতায়াত।—নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় সড়কের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগের একটাই সেতু। স্কুল, বাজার, অফিস যাতায়াতের পথ ওটাই। অথচ বছরখানেক বেহাল পড়ে গলসির সারুল মোড়ের সেতুটি। অভিযোগ, সেচ দফতরের তরফে মাস ছয়েক আগে সেতুটি বিপজ্জনক বলে বোর্ড ঝোলানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শিমুলিয়া, ছোটমুড়িয়ার মতো একাধিক গ্রামে যেতে হয় সেতু পেরিয়ে। জাতীয় সড়ক লাগোয়ো হওয়ায় অনবরত যানবাহন, সাইকেল, মোটরবাইক যাতায়াত করে। কিন্তু গার্ডওয়াল না থাকায় এবং সেতুর মেঝেতে যেভাবে ফাটল ধরেছে তাতে যে কোনও সময় গাড়ির চাকা ঢুকে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তার উপর আলো না থাকায় রাতে যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে বলেও এলাকাবাসীর দাবি। ছোটমুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা সেচ দফতরে এ নিয়ে অভিযোগও করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও সাড়া মেলেনি। বাসিন্দারা জানান, মাসখানেক আগে সেতু থেকে ২০ ফুট নীচে পড়ে গিয়েছিলেন সারুলের এক কৃষক ও শিমুলিয়ার এক ছাত্রী। এক সপ্তাহ আগেও রাতে এক মোটরবাইক আরোহী সেতুর মাঝখানে ফাটলে পড়ে গিয়ে হাত-পা ভাঙেন। তারপরেও প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সইফুদ্দিন, সারুলের ওয়ালিউল হকদের দাবি, ‘‘বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ শিমুলিয়ার চাষিদের আবার দাবি, ভাঙা সেতু দিয়েই ট্রাক্টরে, ভ্যানে ধানবোঝাই করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। গাড়ি চালানোর সময় একটু অসাবধান হলেই বিপদ। ছোটমুড়িয়ার চাষি শেখ হানিফ জানান, দুর্বল সেতু দিয়ে ধানের গাড়ি নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। আবার অন্য রাস্তা না থাকায় ধান বিক্রি করায় মুশকিলের হয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
গলসি ২ এর বিডিও অপূর্বকুমার বিশ্বাসের দাবি, সেত দফতর সেতুটির অবস্থার কথা জানে। ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ বলে বোর্ডও ঝোলানো রয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেও তাঁর আশ্বাস। সেচ দফতরের এসডিও কৌশিক চৌধুরী জানান, ‘‘আশা করি এ বছরের মধ্যেই কাজ শুরু করতে পারব।’’