বিএসএনএল

বেতন নেই, গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ

তিন মাস ধরে বেতন মিলছে না। এমন অভিযোগে গেট বন্ধ করে দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিফোন সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা বিক্ষোভ দেখালেন। মঙ্গলবার এই বিক্ষোভের জেরে ভিতরে ঢুকতে বাধা পান আধিকারিকদের একাংশ ও গ্রাহকেরা। ঘণ্টা দুয়েক পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৬ ০১:২০
Share:

অফিসের সামনে অবস্থান। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র।

তিন মাস ধরে বেতন মিলছে না। এমন অভিযোগে গেট বন্ধ করে দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিফোন সংস্থার অস্থায়ী কর্মীরা বিক্ষোভ দেখালেন। মঙ্গলবার এই বিক্ষোভের জেরে ভিতরে ঢুকতে বাধা পান আধিকারিকদের একাংশ ও গ্রাহকেরা। ঘণ্টা দুয়েক পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে।

Advertisement

জেলায় বিএসএনএলের বিভিন্ন অফিসে ঠিকা সংস্থার মাধ্যমে প্রায় দেড়শো ঠিকাকর্মী কাজ করেন। অভিযোগ, তিন মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত ‘অল বেঙ্গল সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যালায়েড ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়ন’ জেলা কার্যকরী সভাপতি শুভেন্দু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দুর্গাপুরে ১৯ জন, আসানসোলে ৫৬ জন এবং বাকিরা জেলার অন্যান্য টেলিফোন অফিসে কাজ করেন। বারবার আবেদন করেও বেতন না মেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের টেলিফোন সংস্থার গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন ঠিকাকর্মীরা। সংগঠনের পতাকা লাগিয়ে দেন গেটের রেলিংয়ে। কিছুক্ষণ পরে বিক্ষোভকারীরা গেটে তালা লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এর জেরে গ্রাহকেরা ঢুকতে বাধা পান। ঢুকতে বাধা পান সংস্থার আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশও। ঠিকাকর্মী মহম্মদ হানিফ মল্লিক বলেন, ‘‘রমজান চলছে। খাবার কেনার পয়সা নেই। চরম বিপাকে পড়েছি।’’

ঠিকা শ্রমিকদের দাবি, তিন মাস ধরে বেতন মিলছে না। পাশাপাশি, ইএসআই, ইপিএফের কাগজপত্রও ঠিকঠাক দাখিল হচ্ছে না। টেলিফোন সংস্থার আধিকারিকদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকা সংস্থাকে তাঁরা চুক্তি মতো অর্থ দিয়ে দেন। ঠিকা সংস্থা ঠিকা কর্মীদের বেতন দিয়ে থাকে। সরাসরি তাদের কিছু করার থাকে না। তবে পরিস্থিতি যাচাই করে সংস্থার আধিকারিকরা ঠিকা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আপাতত এক মাসের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করার পরে বিক্ষোভ ওঠে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন