‘দিদিকে বলো’য় জানিয়ে হল চিকিৎসা

গত ৪ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন বছর তিরিশের মৌসুমীদেবী। তাঁকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, পরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০০:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

শ্বশুরবাড়িতে রান্না করতে গিয়ে স্টোভ ফেটে দেহের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় মঙ্গলকোটের এক বধূর। আর্থিক কারণে তাঁর চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিষয়টি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে জানানো হয়। তার পরে শনিবারই মহিলার নিখরচায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

প্রায় বারো বছর আগে মঙ্গলকোটের জালপাড়া গ্রামের পরেশচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে আউশগ্রামের সর গ্রামের মৌসুমী খাঁ’র বিয়ে হয়। ওই দম্পতির এক বছর দশেকের সন্তানও রয়েছে। মৌসুমীর ভাই অমিত খাঁ জানান, গত ৪ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন বছর তিরিশের মৌসুমীদেবী। তাঁকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, পরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। অমিতের দাবি, ‘‘চিকিৎসার খরচ চালাতে দিদির গয়না বিক্রি হয়ে গিয়েছে। জমি বন্ধক দিয়েছি। এখন খরচ সামলাতে না পেরে বাড়ি নিয়ে আসি দিদিকে।’’ বধূর বাপের বাড়ি সূত্রে জানা যায়, এই মুহূর্তে ওই মহিলার চিকিৎসার জন্য দৈনিক হাজারখানেক টাকা খরচ হচ্ছে। স্ত্রীর চিকিৎসা চালানোর মতো সঙ্গতি তাঁরও নেই বলে জানান পরেশচন্দ্রবাবু।

এই পরিস্থিতিতে আউশগ্রামের এড়াল পঞ্চায়েতের সর গ্রামে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যান বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। সেখানে অমিতের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের বাড়িতে যান বিধায়ক। তার পরেই এ দিন কলকাতার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে মৌসুমীর চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও পাঠানো হয় এবং‌ তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান স্থানীয় তৃণমূলকর্মী সৌগত গুপ্ত।

Advertisement

বিধায়কের এই উদ্যোগে খুশি মৌসুমীর বাবা তপন খাঁ, স্বামী পরেশচন্দ্রবাবুরা। আর বিধায়ক বলেন, ‘‘ওই মহিলা সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন