স্কুলের কাছেই খাটাল, ক্ষোভ

স্কুলের অদূরেই খাটাল। নিয়মিত স্কুলের গা ঘেঁষে ফেলা হচ্ছে গোবর। এর জেরে এক দিকে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থার দাবিতে উখড়া পিজি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দারস্থ হল। স্কুল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উখড়া শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৮
Share:

স্কুলের পাশেই গোবর জমা। নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের অদূরেই খাটাল। নিয়মিত স্কুলের গা ঘেঁষে ফেলা হচ্ছে গোবর। এর জেরে এক দিকে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থার দাবিতে উখড়া পিজি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দারস্থ হল। স্কুল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি।

Advertisement

পড়ুয়ারা জানায়, স্কুলের এক দিকে পাঁচিল থাকলেও অন্য দিকে নেই। স্কুলের অদূরেই রয়েছে একটি খাটাল। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বারবার বলার পরেও খাটালের লোকজন স্কুলের গা ঘেঁষে গোবর ফেলে যাচ্ছেন। এর ফলে গোবরের স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। চলতি মাসের ১ তারিখ সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঁচ জন পড়ুয়া দুর্গন্ধের জেরে অসুস্থও হয়ে পড়ে বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে স্কুলের নতুন ভবনের চারটি ঘরে ক্লাস করা যাচ্ছে না বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা কুন্তলা পাল জানান, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৮০০ পডুয়া রয়েছে স্কুলে। ক্লাসঘরে ছাত্রীদের মাটিতে বসেও ক্লাস করতে হতো। কুন্তলাদেবী জানান, স্থান সমস্যা মেটাতে এক বছর আগে নতুন ভবনটি তৈরি হয়। কিন্তু সেখানে ক্লাস শুরুর মাস খানেকের মধ্যেই দুর্গন্ধের জেরে তা বন্ধ করে দিতে হয় বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সময়েও মহকুমাশসক, বিডিও, প্রধান-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাদের কাছে প্রতিকারের দাবি জানানো হয়। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরে বুধবার ফের বিডিও-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময় গবাদি পশুর থেকে এনসেফ্যালাইটিসের মতো রোগও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের এক শিক্ষিকার শঙ্কা, ‘‘সমস্যা নিয়ে অভিভবাকরাও চিন্তায় পড়ছেন। স্কুলের উপস্থিতিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে।’’ যদিও উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দয়াময় সিংহের দাবি, ‘‘খাটাল মালিককে গোবর সাফাইয়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। কথা না শুনলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্ডালের বিডিও মানস পান্ডের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন