মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা ও মহকুমাস্তরের হাসপাতালে আগে থেকেই ছিল। এ বার সাবেক বর্ধমানের প্রাথমিকস্ত রের হাসপাতালেও বসছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানান, তাতে চব্বিশ ঘণ্টার রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। তার কাজও শুরু হয়েছে।
হাসপাতালের নিরাপত্তায় সিসি-ক্যামেরার ভূমিকা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগ ওঠে। প্রথমে হাসপাতাল, পরে মেট্রো স্টেশনের সিসি-ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শিশু চুরির কিনারা করে পুলিশ। কলকাতারই একটি সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সিসি-ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। শুধু কলকাতা কেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কাটোয়া হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনাতে পুলিশের সহায় হয়েছিল সিসি-ক্যামেরার ফুটেজ।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই ভাবনা থেকেই রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ পুরকায়স্থের নির্দেশে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে মোট কত সিসি-ক্যামেরা প্রয়োজন, সম্প্রতি তার হিসেব নেয় পুলিশ। হাসপাতাল ধরে ওই হিসেব পৌঁছে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরে। এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, এক সেট (চারটে) সিসি-ক্যামেরার খরচ ধরা হয়েছে গড়ে ১৮ হাজার টাকা। এলসিডি মনিটরের খরচ আলাদা।
বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ ঠিক করেছে, হাসপাতালের ভিতরে তো বটেই, বাইরের রাস্তাতেও সিসি-ক্যামেরা রাখা হবে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও করা হবে। বর্ধমান মেডিক্যাল ও অনাময় হাসপাতাল মিলিয়ে ৬০টি এবং প্রতিটি মহকুমা হাসপাতালে ৩২টি করে সিসি-ক্যামেরা বসানো হবে। এ ছাড়াও গ্রামীণ ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরে-বাইরে ৮টি করে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার উৎপল দাঁ, কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বাড়ুইরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এতে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো হবে বলেই তাঁদের আশা। বাড়তি এই ক্যামেরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও সহায়ক হবে, জানাচ্ছে পুলিশও।