মন্দির চত্বরে বসবে সিসিটিভি

নির্বিঘ্নে মহিষমদির্নী পুজো মেটাতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সিসিটিভি বসানো-সহ নানা পরিকল্পনা নিয়েছে পুজো কমিটি। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ৩১ জুলাই পুজো শুরু হওয়ার কথা। উৎসব চলবে ৭ অগস্ট পর্যন্ত। তার আগেই ভিন জেলা থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে লেগে পড়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০১:৪৫
Share:

চলছে মূর্তি তৈরি। —নিজস্ব চিত্র।

নির্বিঘ্নে মহিষমদির্নী পুজো মেটাতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সিসিটিভি বসানো-সহ নানা পরিকল্পনা নিয়েছে পুজো কমিটি। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ৩১ জুলাই পুজো শুরু হওয়ার কথা। উৎসব চলবে ৭ অগস্ট পর্যন্ত। তার আগেই ভিন জেলা থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে লেগে পড়েছেন তাঁরা।

Advertisement

পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর ক’দিন প্রতি বছরই ছোটখাট ছিনতাই, ইভটিজিং-সহ নানা অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ ওঠে। এ বার তা রুখতে বকুলতলা মোড় থেকে মন্দির পর্যন্ত থাকছে বেশ কিছু সিসিটিভি বসানো হবে। মেলা ও মন্দির চত্বরে সর্বক্ষণ পুলিশের নজরদারির চালানোর জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প গড়া হবে। কোনও অগ্নিকাণ্ড যাতে না ঘটে, সে জন্য মন্দিরের কাথে থাকবে তিনটি পাম্প মেশিনও। এ ছাড়া বয়স্কদের পুজো দেওয়ার জন্য আলাদা টোকেনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পুজোর সময় মন্দিরের সামনের ধর্মশালা থেকে টোকেন মিলবে বলেও জানানো হয়েছে।এ ছাড়া মেলায় ঢোকারজন্য চারটে গেট ও বেরোনোর জন্য তিনটে পথ রাখা হয়েছে। থাকছে বিশুদ্ধ পানীয় জল, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও। তবে প্রতি বছর যে সংস্থা শিবির করে এ বার তাঁদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য পুজো কমিটির তরফে মহকুমা হাসপাতাল এবং পুরসভার সাহায্য চাওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। কমিটির কর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর তিন দিন ভোগ বিলি করা হবে। দশমীর দিন থাকবে বস্ত্র বিতরণের বন্দোবস্তো। আর প্রতিবারের মতো যাত্রা, বাউল গান, পুতুলনাচ, তরজা-সহ নানা অনুষ্ঠানোর আয়োজন তো থাকবেই।

পুজো কমিটি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভক্তদের দেওয়া বেশ কিছু গয়না রয়েছে দেবী মহিষমর্দিনীর। সারা বছর শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গয়নাগুলি থাকে। নিরাপত্তার স্বার্থে সেগুলির বিমা করানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজো কমিটিটি সরকারি ভাবে নথিভুক্ত করাও হবে এ বার। পুজো কমিটির তরফে শঙ্কর পান বলেন, ‘‘একটি বিমা সংস্থাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের তরফে এখন নিশ্চিত ভাবে উত্তর আসেনি।’’ শঙ্করবাবুর দাবি, মন্দিরের সম্পত্তির মুল্য যেহেতু নির্ধারণ করা হয়নি তাই রেজিস্ট্রেশনের কাজ আটকে রয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশ, দমকল-সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্তাদের ডাকা হবে। মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, ‘‘বৈঠকে পুজো কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হবে গত বারের সিদ্ধান্তগুলি মানা হয়েছে কি না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন