TMC

কার্যালয় তৈরি নিয়ে গোলমাল

জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আঝাপুর মোড়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র একটি অস্থায়ী দফতর রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২০ ০১:৫৪
Share:

আঝাপুরে অশান্তি। নিজস্ব চিত্র

খাস জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে গোলমাল বাধল জামালপুরের আঝাপুর মোড়ে। রবিবার বেলা ১০টা নাগাদ ঘণ্টা দেড়েক ধরে গোলমাল, হাতাহাতি চলার পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। এখন কার্যালয় খোলার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক (বর্ধমান সদর) সুনীল গুপ্তের অবশ্য দাবি, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে ওই এলাকাতেই কার্যালয় খোলা হবে।’’

Advertisement

ঘটনার পরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে ওই এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে। জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আঝাপুর মোড়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র একটি অস্থায়ী দফতর রয়েছে। তার উল্টো দিকে বিজেপিও একটি অস্থায়ী দফতর খুলতে চাইছে বলে খবর মেলে। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। এখন সরকারি জায়গায় দলীয় কার্যালয় খোলার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে বলে সতর্ক করেন। পুলিশের দাবি, বিজেপি নেতৃত্ব সে কথা মেনে নিয়ে কার্যালয় তৈরি থেকে পিছিয়ে যাওয়ার কথা জানান। জামালপুর থানার তরফে আঝাপুর মোড়ে এক জন এএসআই এবং দশ জন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করে রাখা হয়। তার জেরেই রবিবার বড় অশান্তির হাত থেকে রেহাই মিলেছে, মনে করছেন পুলিশের কর্তারা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ছোট ছোট কংক্রিটের স্তম্ভ নিয়ে বিজেপির লোকেরা জড়ো হন। রাস্তার ধারে খাস জায়গায় অস্থায়ী ভাবে বিজেপি দলীয় কার্যালয় তৈরি করছে, এই খবর পেয়ে তৃণমূলের লোকজনও জড়ো হতে শুরু করেন। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের আন্ডারপাসের দু’প্রান্তে দু’পক্ষ জমায়েত করলে হইচই শুরু হয়ে যায়। পুলিশ দু’পক্ষকে সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের সামনেই হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি বেধে যায়। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, অনেকের হাতে লাঠিও দেখা গিয়েছে। জামালপুর থানা থেকে আরও পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

বিজেপির মণ্ডল সভাপতি (১২ নম্বর) তপন বাছারের অভিযোগ, ‘‘রাস্তার ধারে খাস জমিতে কার্যালয় তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুলিশ তা আটকে দিল। জেলা নেতৃত্বের কথা শুনে আমরাও কিছুটা পিছিয়ে এলাম।’’ এলাকার তৃণমূল নেতা প্রতাপ রক্ষিত দাবি করেন, ‘‘সরকারি জায়গা দখল করে বিজেপি দফতর তৈরি করছিল। প্রশাসন আইন মেনে সরকারি জায়গা দখল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement