মৌকাটা

বন্ধ পাম্পঘর, জল-সঙ্কটে চাষিরা

এলাকায় চাষের সুবিধের জন্য তৈরি হয়েছিল একটি নদী সেচ প্রকল্প। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই বেহাল প্রকল্পের পাম্পঘরটি। ভেঙে গিয়েছে ঘরটির দেওয়াল। নজরে পড়ে না পাম্পঘরের দরজাটিও। উৎপাত বেড়েছে চোরেরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৫৯
Share:

দরজা নেই পাম্পঘরে। নিজস্ব চিত্র।

এলাকায় চাষের সুবিধের জন্য তৈরি হয়েছিল একটি নদী সেচ প্রকল্প। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই বেহাল প্রকল্পের পাম্পঘরটি। ভেঙে গিয়েছে ঘরটির দেওয়াল। নজরে পড়ে না পাম্পঘরের দরজাটিও। উৎপাত বেড়েছে চোরেরও।

Advertisement

এর জেরে বছর চারেক ধরে দেবশালার মৌকাটা গ্রামের নদী সেচ প্রকল্পটি বন্ধ পড়ে রয়েছে। এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে বারবার দরবার করেও লাভ হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক দশক আগে মৌকোটা গ্রামে কুনুর নদীর পাড়ে সেচ প্রকল্পের জন্য একটি পাম্পঘর তৈরি করা হয়। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যেই ঘরটি ভেঙে পড়তে থাকে। বাসিন্দারা জানান, প্রকল্পের পাইপগুলিও খুলে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। বেশ কয়েকবার সেচের জন্য ব্যবহৃত পাম্পটিও চুরির চেষ্টা করা হয়।

Advertisement

বাসিন্দারা জানান, প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই। সেই মতো নিয়মিত টহলও দেওয়া হতো। কিন্তু পাম্পঘরটির দরজা, জানলা না থাকায় কেউ আর পাহারা দিতে সাহস পাননি বলে জানান বাসিন্দারা। শেষমেশ চোরেদের নজর থেকে পাম্পটিকে বাঁচাতে সেটি তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে রাখেন গ্রামবাসীরা।

এই সেচ প্রকল্পটির উপর প্রায় একশো একর জমির ধান চাষ নির্ভর করে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল মণ্ডল। স্থানীয় বাসিন্দা বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘এলাকায় সেচ খাল নেই। ফলে চাষের জন্য শুধুমাত্র ওই পাম্পঘরটির উপরেই বছরভর নির্ভর করতে হয় চাষিদের।’’ কিন্তু বছর চারেক ধরে সেচ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে থাকায় সবথেকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বোরো চাষের সময়।

অভিযোগ, পাম্পঘরটি সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হয়নি। কৃষ্ণচন্দ্র মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী জানান, ঘরটি সংস্কার চেয়ে ব্লক দফতরে আবেদন করেও লাভ হয়নি।

যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন। আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও দীপ্তিময় দাস জানান, পাম্পঘরটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেচ দফতরের বক্তব্য, ঘরটি সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন