বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে পীযূষ গয়াল। বারাবনিতে। নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি খাদান বন্ধে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না, আসানসোল-রানিগঞ্জ খনি অঞ্চলে ভোটের প্রচারে এসে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। রবিবার বারাবনি কেন্দ্রের কাপিষ্ঠা ও পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রের বহুলায় দু’টি সভা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন এলাকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
এ দিন দুপুরে কাপিষ্ঠায় কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী জানান, এই অঞ্চলে মাটির তলায় প্রচুর কয়লা আছে। নির্বিঘ্নে তা খনন করতে পারলে এলাকার বেকার যুবকেরা কাজ পাবেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের গা-জোয়ারিতে এখানে খনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে শুনেছি। ফলে শ্রমিকেরা কাজ হারাচ্ছেন। আমি এটা হতে দেব না।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই এলাকায় প্রচুর অবৈধ কয়লা খাদান আছে। সেগুলি থেকে কয়লা চুরিতে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। আবার, বৈধ খাদানগুলি ঝামেলা পাকিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা অবৈধ খাদান বন্ধে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। কিন্তু রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছি না। তাই সেগুলি কার্যকর করা যাচ্ছে না।’’
এ দিন মন্ত্রীর কাছে বারাবনির বিজেপি প্রার্থী অমল রায় অভিযোগ করেন, এলাকার একটি বেসরকারি কয়লা উত্তোলক সংস্থা গত তিন মাস ধরে কয়লা তুলছে না। আগাম কোনও নোটিস না দিয়েই সংস্থাটি এমন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গোটা ঘটনার পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। কয়লা মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি ই খনির আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন নির্বাচনী আচরণ বিধি রয়েছে। তাই বিশেষ কিছু বলছি না। তবে সমস্যা মিটিয়ে উৎপাদন শুরুর পরামর্শ দিয়েছি। কোনও শ্রমিককে ছাঁটাই না করারও নির্দেশ দিয়েছি।’’ স্থানীয় তৃনমূল নেতা পাপ্পু উপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিষয়টি একান্তই সংস্থার নিজস্ব। আমরাও চাই দ্রুত কাজ চালু হোক। কারণ, শ্রমিকেরা সবাই আমাদের শ্রমিক সংগঠনের সদস্য।’’
কয়লা মন্ত্রী এ দিন আশ্বাস দেন, খনির জল শোধন করে এলাকায় সরবরাহের পরিকল্পনা হয়েছে। তাতে বিস্তীর্ণ এলাকার জলসঙ্কট মিটবে। বহুলার সভায় তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের সাংসদ এ রাজ্যে তহিলের টাকা খরচ করে উন্নয়ন করতে চাইলেও রাজ্য সরকার কাজ করতে দিচ্ছে না। এই খনি এলাকা দেশকে সমৃদ্ধ করলেও তার নিজের সমৃদ্ধি ঘটেনি।’’