জমির মিউটেশনের জন্য ই-চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হতে হয়েছে, অভিযোগ করেছেন কালনা ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের (বিএলএলআর) বেশ কিছু ল-ক্লার্ক। অফিস লাগোয়া একটি সাইবার ক্যাফে থেকে এই প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। বিএলএলআর দফতরের তরফে জানানো হয়, বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
জমির মিউটেশন-সহ নানা বিষয়ে মানুষজনকে সহযোগিতা করার জন্য বিএলএলআর দফতরে রয়েছেন প্রায় তিরিশ জন ল-ক্লার্ক বা মুহুরি। তাঁরা জানান, মিউটেশনের জন্য আগে দফতরে সরকারি ফি জমা দেওয়া যেত। তবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে ই-চালানের মাধ্যমে মিউটেশন জমার নির্দেশিকা জারি হয়। মুহুরিদের দাবি, এর পরে তাঁরা কখনও নিজে, কখনও সংশ্লিষ্ট মক্কেলদের নিয়ে লাগোয়া একটি সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে নির্দিষ্ট টাকা ই-চালানের মাধ্যমে জমা দিতেন। কিন্তু মাস দেড়েক আগে দফতর থেকে জানতে পারেন, সরকারি তহবিলে কারও এক টাকা, কারও বা ১০ টাকা জমা পড়েছে। এর পরেই শুরু হয় হইচই।
কালনা ১ বিএলএলআরও অফিসের ল-ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরেশ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘একটি ২ একর সম্পত্তি মিউটেশনের জন্য ৫ অগস্ট ওই সাইবার ক্যাফেতে ১৪,৪০০ টাকা জমা দিই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সরকারি তহবিলে জমা পড়েছে মাত্র এক টাকা।’’ আর এক মুহুরি মধুসূদন কীর্তনিয়ার অভিযোগ, ‘‘এগারো জনের জমি মিউটেশনের জন্য বেশ কয়েক হাজার টাকা জমা দিয়েছিলাম। সরকারি তহবিলে সাতটি জমির জন্য ১ টাকা করে ও চারটি জমির জন্য ১০ টাকা করে জমা পড়েছে।’’ মুহুরিদের দাবি, মোট ২০ জন কয়েক লাখ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
যদিও অভিযোগ মানতে চাননি সাইবার ক্যাফের মালিক সূর্য বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অন্য কোনও জায়গা থেকে প্রতারিত হতে পারেন মুহুরিরা। আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’ বিএলএলআরও তাপসী চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ওই জমিগুলির মিউটেশন করা হয়নি। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ করা হয়েছে।’’ কালনা থানা জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।