অটো ধরতে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
সকাল সাড়ে দশটা, আসানসোল রবীন্দ্রভবন। তুমুল ঝগড়া অটোচালকের সঙ্গে যাত্রীদের।
দুপুর বারোটা। আসানসোলের গির্জামোড় বাসস্ট্যান্ড। এ ক্ষেত্রেও একই ছবি। আসানসোলে বাস ধর্মঘটের ষষ্ঠ দিন সোমবার, দিনভর বেশি ভাড়া চাওয়ায় এ ভাবেই অটোচালকদের সঙ্গে বচসা হল যাত্রীদের।
অফিসযাত্রী থেকে পড়ুয়া, সকলেরই অভিযোগ, বাস না চলায় শহরে অটো-টোটো চালকেরা ইচ্ছেমতো ভাড়া হেঁকেছেন। এ দিন সকাল থেকেই বৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। অভিযোগ, এই জোড়া ‘সুযোগে’ অন্তত দ্বিগুণ ভাড়া হেঁকেছেন অটো চালকেরা। কী রকম? রবীন্দ্র ভবনে দাঁড়িয়ে থাকা এক পড়ুয়া জানান, যে রুটে ভাড়া ১০ টাকা, সেখানে ২০ টাকা চাইছে অটো। আবার স্ট্যান্ড থেকে বরাকরে যেতে চাওয়া হয়েছে ৩০ টাকা। এক যাত্রী অটো চালককে জানান, ‘‘রবিবারই তো ২০ টাকা নিয়েছেন।’’ শুনেই চালকের জবাব, ‘‘আজ বৃষ্টি পড়ছে। তাই ৩০ টাকাই লাগবে।’
তা ছাড়া মিনিবাসে যে দূরত্বের ভাড়া ছ’টাকা, সেখানে অটোয় নিচ্ছে ১৫ টাকা। আসানসোল থেকে বার্নপুর, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, চিত্তরঞ্জন-সহ নানা রুটেও এমন বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা। চিত্তরঞ্জনের একটি স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা সিংহ বলেন, ‘‘ফি দিন বাড়তি ৫০টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।’’ একই অভিযোগ জামুড়িয়া ব্লকের কর্মী রাজীব ঝায়েরও।
উল্টো দিকে, এ দিনও বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কোনও আশা দেখা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে এ দিনও রানিগঞ্জে অটো ও টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান চলেছে বলে দাবি অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরীর। তাঁর দাবি, ‘‘পরিবহণ দফতর বেশ কিছু অটো ও টোটো বাজেয়াপ্ত করেছে।’’ তবে আসানসোলে এই ‘অভিযান’ কিছুটা শিথিল বলে প্রশাসনেরই একটি সূত্রের দাবি।
আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় অবশ্য এ দিন ফের জানিয়ে দিয়েচেন, ‘‘রানিগঞ্জ স্টেশন থেকে এনএসবি রোড হয়ে পাঞ্জাবী মোড়, বরাকর থেকে জিটিরোড হয়ে কালীপাহাড়ি, জুবিলি মোড় থেকে বিএনআর হয়ে আসানসোল স্টেশন, নিয়ামতপুর থেকে চিত্তরঞ্জনে অটো চলাচল বন্ধ হলেই বাস চলাচল শুরু হবে। না হলে বাস নামবে না।’’