দু’জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির ডাক পেয়ে সেখানে নিজেদের বক্তব্য লিখিত ভাবে জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। সেই ‘ফল’ এখনও অপ্রকাশিত। এরই মধ্যে ওই দু’জনকে পাকাপাকি ভাবে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তৃণমূলের একাংশ দাবি করেছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দূরশিক্ষা বিভাগে দু’জন সহকারী অধিকর্তার নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যপালের নির্দেশে উচ্চ শিক্ষা দফতর পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্ত রিপোর্টে ওই দু’জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিও তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে। তাঁরাও একই প্রশ্ন তোলেন। এই বিতর্ক থাকার পরেও ওই দু’জনকে পাকাপাকি ভাবে নিয়োগ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উঠেপড়ে লেগেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। দলের জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত ও খোকন দাসের অভিযোগ, “সরকারের তদন্তকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত, যে সব প্রশ্ন উঠেছে তা সমাধান করা। তা না করে বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’জন প্রায় বছরখানেক আগে সহকারী অধিকর্তার পদে নিযুক্ত হয়েছেন। তার আগে দূরশিক্ষা ভবনেই চাকরি করতেন। সেখান থেকে ‘লিয়েন’ নিয়ে ওই পদে যোগ দেন। নিয়ম অনুযায়ী, ন’মাস পরে ‘পারফরম্যান্স রিপোর্ট’ও জমা পড়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তথা দূরশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তা দেবকুমার পাঁজা বলেন, “উপাচার্যের অনুমতিতে নিয়ম মেনেই কর্মসমিতিতে বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রাখা হয়েছে।’’ উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, ‘‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’