স্টেশনের মুখে বেহাল স্ট্যান্ড, ক্ষোভ

এমনই হাল দুর্গাপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে থাকা বাসস্ট্যান্ডটির। যাত্রীদের অভিযোগ, স্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নে এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ করেনি দুর্গাপুর পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৭ ০১:১১
Share:

এখানেই জমে জল। নিজস্ব চিত্র

যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৌচাগার-সহ নানাকিছু নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। এমনই হাল দুর্গাপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে থাকা বাসস্ট্যান্ডটির। যাত্রীদের অভিযোগ, স্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নে এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ করেনি দুর্গাপুর পুরসভা।

Advertisement

দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রো়ড থেকে স্ট্যান্ডে ঢোকার রাস্তাটি খন্দে ভরা। বাসিন্দারা জানান, রাস্তা, এমনকী স্ট্যান্ডেও নোংরা জল জমে। খোলা নর্দমা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। বর্ষায় সমস্যা আরও বাড়ে। অথচ এই স্ট্যান্ড থেকে দুর্গাপুরের শহরের ভিতরে ও বোলপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বরাকর, বহরমপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তের ও ঝাড়খণ্ডের বাস যাতায়াত করে। বেসরকারি বাসের পাশাপাশি সরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসও চলাচল করে। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঠেসাঠেসি করে দাঁড়িয়ে থাকে বাসগুলি। যাত্রীরা জানান, ব্যস্ত সময়ে ঠিক বাস খুঁজে পেতে সমস্যা হয়। পরিবহণ কর্মীরা জানান, এই স্ট্যান্ডটি ফি দিন গড়ে চারশো বাস ব্যবহার করে। তাঁদের দাবি, এই সংখ্যা আড়াইশো কম হলে ঠিক ছিল। তার উপরে সমস্যা বাড়িয়েছে অদূরেই অটো স্ট্যান্ড তৈরি হওয়ায়।

বাসস্ট্যান্ডের ভিতরের পরিকাঠামো নিয়েও রয়েছে নানা সমস্যা। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতীক্ষালয় বলতে রয়েছে পুরনো একটি ছাউনি। কিন্তু তার নীচে পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। সমস্যা রয়েছে পানীয় জল, শৌচাগারেরও। সিটি সেন্টারের নন-কোম্পানি এলাকার বাসিন্দা সৌরভ দে প্রতিদিন ট্রেনে চড়ে বর্ধমান যান। তাঁর দাবি, ‘‘টাউন সার্ভিস বাসে স্টেশনে আসি। স্ট্যান্ডে ঢোকার মুখে রাস্তার এমন হাল, মনে হয় বাস উল্টে যাবে!’’ বেনাচিতির কবিতা দত্তের ক্ষোভ, ‘‘সামান্য বৃষ্টিতে স্টেশনের সামনে জল জমে। নিকাশিও বেহাল।’’ যাত্রীদের অভিযোগ, ‘মডেল’ স্টেশন হিসেবে দুর্গাপুরকে ঘোষণা করেছে রেল। সেই স্টেশনে ঢোকার মুখে এমন বাসস্ট্যান্ড ভীষণই বেমানান।

Advertisement

যদিও পুরসভার আধিকারিকেরা জানান, দিন কয়েক আগে রাস্তার সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষায় জল জমে দু’এক জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে ফের খন্দ তৈরি হয়েছে। নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পরে স্ট্যান্ডের হাল ফেরাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে পুরসভার
কর্তাদের আশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন