কালনার মহেশ্বরপুরে এমন হাল সেতুর। নিজস্ব চিত্র
সেতুর মাঝামাঝি একটা বড় গর্ত। এতটাই বড় যে যানবাহন যাওয়ার উপায় নেই। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গর্তের উপর লোহার খাঁচা বসিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। দু’বছর ধরে এমন ভাবেই যাতায়াত চলছে কালনা ২ ব্লকের মহেশ্বরপুর গ্রামে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যে কোনও সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে প়ড়তে পারে গোটা সেতুটাই।
বেহুলা নদীর উপরে ১৯৫৯ সালে তৈরি হয় কংক্রিটের এই সেতুটি। লম্বায় প্রায় ৩৫ ফুট ও চওড়ায় ১২ ফুট সেতুটি দিয়ে কালনা শহরের বহু বাসিন্দা নানা কাজে পান্ডুয়া যান। আবার স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাজার, চাষবাসের কাজেও সেতু পেরোন মহেশ্বরপুর, দফরপুর, মোমিনপুর, কাশীপুর, রাহাতপুর, কুলটি, ইছাপুর, মালিকেলনই-সহ প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ। চলে অটো, ফসলবোঝাই ট্রাক্টরও। অথচ প্রায় বছর দুয়েক ধরে সেতুতে ওঠার এক দিকে আড়াআড়ি ছ’ফুট গর্ত হয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রথমে সেতুর মেঝেতে কংক্রিটের চাদরের উপর একটি ছোট গর্ত হয়। সংরক্ষণ না হওয়ায় বাড়তে থাকে গর্ত। যোগাযোগ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে অটো চালকেরা এবং এক ট্রাক্টর মালিক চাঁদা তুলে হাজার সাতেক টাকা খরচ করে লোহার খাঁচাটি বসান। তবে শুধু গর্তই নয়, ভারী গাড়ি গেলে সেতুটির কংক্রিটের বিমগুলি নড়ে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, কয়েকটি বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে চাঙর।
সেতুটির বিপজ্জনক দশার কথা বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও লাভ হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। তাঁরা জানান, কয়েকবার সেতুটি পর্যবেক্ষণ করা হলেও মেরামতির কাজে হাত দেওয়া হয়নি। অটো চালক রতিকান্ত কোলে, ইসমেইল শেখ, আসাদ মণ্ডল, কার্তিক ঘোষেরা জানান, সেতুর উপর দিয়ে যাত্রী নিয়ে খুব সাবধানে যেতে হয়। মনে হয় এই বুঝি ভেঙে পড়েবে।
কালনা ২-এর বিডিও মিলন দেবগড়িয়া জানান, বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে জেলায়। আশা করা যায়, তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।