Solid waste

শিলান্যাস, দুর্গাপুরে তবুও তৈরি হয়নি কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন (‌জেএনএনইউআরএম) প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দে ও একটি বেসরকারি সংস্থার লগ্নিতে শঙ্করপুরে কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে।

Advertisement

সুব্রত সীট

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

তিন বছর আগে দুর্গাপুরে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নানা টানাপড়েনে সে কেন্দ্র গড়ার কাজই শুরু হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

দুর্গাপুর শহরে প্রথম আধুনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে ২০১০-এ। কেন্দ্রীয় জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন (‌জেএনএনইউআরএম) প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দে ও একটি বেসরকারি সংস্থার লগ্নিতে শঙ্করপুরে কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে সার বা বিশেষ ধরনের ইট তৈরির ব্যবস্থা ছিল সেখানে। উপযুক্ত পরিমাণ বর্জ্য না মেলায় প্রকল্প চালিয়ে লোকসান হচ্ছে, এমন দাবি করে ২০১৩-য় কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা। তার পরে থেকে শহরের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের আর কোনও ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের।

এই পরিস্থিতিতে ২০১৭-র ১১ ডিসেম্বর কাঁকসার রঘুনাথপুরে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে দুর্গাপুরে প্রায় ৩০ কোটি ২১ লক্ষ টাকা খরচে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরবাসীও স্বস্তি পান।

Advertisement

কিন্তু তার পরেও কেন্দ্রটি কেন তৈরি হয়নি? দুর্গাপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলান্যাসের পরে পুর-কর্তারা যান সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (সিএমইআরআই)। সেখানকার বিজ্ঞানীরা বিশেষ প্রযুক্তিসম্পন্ন কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়েছেন। দৈনন্দিন বর্জ্য থেকে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বায়ো-গ্যাস, ইট তৈরি হয়। কঠিন ও তরল— দু’ধরনের বর্জ্যই প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি, পরিত্যক্ত নির্মাণ সামগ্রীও প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

সিএমইআরআই-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে এমন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠায় পুরসভা। কিন্তু পরীক্ষা-নীরিক্ষার পরে, তা বাতিল করে দেয় নগরোন্নয়ন দফতর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম দু’বছর প্রকল্পটি পরিচালনা করার পরে তা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল সিএমইআরআই-এর। কিন্তু নগরোন্নয়ন দফতর জানায়, ১৫ বছর পরে পুরসভা প্রকল্প হাতে নেবে, সে ভাবে কোনও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে হবে। পুরসভা তেমন কোনও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত নগরোন্নয়ন দফতর থেকে এক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে মনোনীত করা হয়। সেই সংস্থা প্রয়োজনীয় সমীক্ষার পরে পরিকল্পনা তৈরি করে তা জমা দেয় দফতরের কাছে। কিন্তু তা এখনও অনুমোদন পায়নি। পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি নগরোন্নয়ন দফতরই দেখছে। পুরসভার বিশেষ ভূমিকা নেই। প্রকল্পের কাজ চলার সময় পুরসভা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement