পোস্টার নিয়ে চাঞ্চল্য

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলাশাসকের দফতরের দেওয়ালে ফ্লেক্স সাঁটানোর পরেই বর্ধমান আদালত চত্বরে একটি দেওয়ালে পোস্টার মারতে দেখা যায় জনা তিনেক যুবককে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪৩
Share:

বিতর্কিত ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

পুলিশ, প্রশাসন, বর্ধমান আদালতের ল’ক্লার্কদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল জেলাশাসকের দফতরের দেওয়ালে। সোমবার সকাল থেকেই ওই ফ্লেক্সগুলি দেখা যায়। পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে তিন জনকে আটকও করে পুলিশ।

Advertisement

ওই ফ্লেক্সে দাবি করা হয়েছে, শ্লীলতাহানি, পকসো আইনের ভয় দেখিয়ে, ব্ল্যাকমেল করে প্রতারণা করেন বর্ধমান আদালতের ল’ক্লার্কেরা। জেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতারণা চলে। থানা কেন অভিযোগ নেয় না তা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারকেও প্রশ্ন করা হয়েছে। এর সঙ্গেই লেখা রয়েছে, ‘জনগণ সাবধান, সুবিচার চাহিয়া লজ্জা দেবেন না।’ তবে ব্যানারগুলির কোথাও কাদের তরফে দেওয়া হয়েছে সে উল্লেখ নেই।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলাশাসকের দফতরের দেওয়ালে ফ্লেক্স সাঁটানোর পরেই বর্ধমান আদালত চত্বরে একটি দেওয়ালে পোস্টার মারতে দেখা যায় জনা তিনেক যুবককে। তাদের আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তিরা দাবি করেছেন দুশো টাকার বিনিময়ে ফ্লেক্স সাঁটাচ্ছিলেন তারা। এর বেশি কিছু জানেন না।

Advertisement

জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘পোস্টার আমি দেখিনি। তবে, এ ভাবে পোস্টার দিলে হবে না। উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করতে হবে।’’ একটি ফ্লেক্স যে ল’র্ক্লাকের নাম লেখা রয়েছে তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এ সব চলছে। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, সরকারি আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যে কোনও মানুষ অভিযোগ করতে পারেন। বিনামূল্যে তাঁদের মামলার ব্যবস্থা করা হয়। সুতরাং সেখানে না গিয়ে এ ভাবে অভিযোগ করা ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত স্বার্থে এ কাজ করা হয়েছে, দাবি তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন